Tuesday 26 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ভোটার তালিকা হালনাগাদ শুরু আজ


২৩ এপ্রিল ২০১৯ ০২:৫১

ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা: সারাদেশে প্রথম ধাপের ভোটার তালিকা হালনাগাদ শুরু হচ্ছে আজ।  মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বেলা ১১টায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা অনুষ্ঠানিকভাবে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন। রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসকের কনফারেন্স রুমে এই অনুষ্ঠান হবে। প্রথম ধাপে ২৩ এপ্রিল থেকে ১৩ মে পর্যন্ত ৬৪টি জেলার ১৩৫টি উপজেলায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা করা হবে।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (২২ এপ্রিল) ইসির যুগ্মসচিব এসএম আসাদুজামান আরজু সারাবাংলা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘২৩ এপ্রিল থেকে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম শুরু হবে। এদিন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) রাজবাড়ী জেলায়, নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম চট্টগ্রাম, কবিতা খানম সিলেট, বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদত হোসেন চৌধুরী রাজধানীর সাভারে হালনাগাদের কাজ উদ্বোধন করবেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘ইসি সচিব হেলালউদ্দীন আহমদ রাজশাহী, ইসির অতিরিক্ত সচিব মুখলেছুর রহমান রংপুর এবং জাতীয় পরিচয়পত্র অনুবিভাগের মহাপরিচালক বিগ্রোডিয়ার জেনারেল সাইদুল ইসলাম কুমিল্লায় ভোটার তালিকা হালনাগাদ কাজের উদ্বোধন করবেন।’

আরও পড়ুন: কাল থেকে সারাদেশে ভোটার তালিকা হালনাগাদ শুরু

ইসি সূত্র জানায়, ২৩ এপ্রিল থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে নতুন ভোটার হওয়ার যোগ্য নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহ করা হবে। তথ্য সংগ্রহের এই কাজ চলবে ১৩ মে পর্যন্ত। পরবর্তীতে ২৫ মে থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত নিবন্ধন কার্যক্রম চলবে। তথ্য সংগহের সময় কেউ বাদ পড়লে তিনি নিবন্ধন কেন্দ্রে গিয়েও তথ্য দিয়ে নিবন্ধিত হতে পারবেন। এছাড়াও নতুন ভোটার তালিকায় নাম তুলতে তথ্য সংগ্রহকারীর কাছে কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করতে হবে।

কারা ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারবেন
২০০১ সালের ১ জানুয়ারির আগে যারা জন্মগ্রহণ করেছেন তারা এবার নতুন ভোটার হিসাবে তালিকাভুক্ত হতে পারবেন। ২০২০ সালের ২ জানুয়ারি তাদের নিবন্ধিত খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশিত হবে।

এবার প্রথমবারের ভোটার হওয়ার যোগ্য নাগরিকের পাশাপাশি যাদের বয়স ১৫ বছর হয়েছে তাদেরও তথ্য সংগ্রহ করা হবে। এইক্ষেত্রে যাদের জন্ম ২০০২ ও ২০০৩ সালের ১ জানুয়ারি বা তার পূর্বে জন্ম তাদের নিবন্ধিত খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশিত ২ জানুয়ারি ২০২১ সালে। আর যাদের জন্ম ২০০৪ সালের ১ জানুয়ারি বা তার পূর্বে তাদের নিবন্ধিত খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশিত ২ জানুয়ারি ২০২২ সালে।

বিজ্ঞাপন

হালনাগাদ কার্যক্রমে ভোটার স্থানান্তরিত হওয়া যাবে
ভোটার তালিকা হালনাগাদের সময় এক এলাকার ভোটার অন্য এলাকায় ভোটার হিসাবে স্থানান্তরিত হতে পারবেন। এছাড়াও বিগত সময়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে যারা বাদ পড়েছিলেন ভোটার তালিকা নিবন্ধনের জন্য তাদেরও তথ্য সংগ্রহ করা হবে। একইসঙ্গে হালনাগাদ চলাকালে ভোটার তালিকা থেকে মৃত ভোটারদের তথ্য সংগ্রহ করা হবে।

হালনাগাদ চলাকালে যেসব নাগরিকের তথ্য সংগ্রহ করা হবে, নির্ধারিত তারিখে তাদের সংশ্লিষ্ট রেজিস্ট্রেশন কেন্দ্রে গিয়ে ছবি ও বায়োমেট্রিক দিয়ে নিবন্ধন কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে।

ভোটার হতে যেসব কাগজপত্র লাগবে
নতুন ভোটার হওয়ার ক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধন কপি অবশ্যই থাকতে হবে। কোনো কারণে তা না থাকলে নাগরিকত্বের সনদপত্র দেখাতে হবে। এটিও দেখানো সম্ভব না হলে বাবা, মা, স্বামী/স্ত্রীর ন্যাশনাল আইডি কার্ডের ফটোকপি দেখাতে হবে। এছাড়াও ভোটার হওয়ার ক্ষেত্রে এসএসসি পাসের সনদপত্র দেখাতে হবে (যদি থাকে)।

অন্যদিকে, ইউটিলিটি যেমন গ্যাসবিল, বিদ্যুৎবিল অথবা পানির বিলের ফটোকপি, বাড়ি ভাড়ার রশিদ কিংবা হোল্ডিং ট্যাক্স রশিদ যদি থাকে তা প্রযোজনে দেখাতে হবে। অর্থাৎ নতুন ভোটার হতে যাওয়াকে ব্যক্তিকে প্রমাণ করতে হবে তিনি বাংলাদেশের নাগরিক এবং তার বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হয়েছে।

থাকছে সারাবছর ভোটার হওয়ার সুযোগ
বাংলাদেশের যেকোনো নাগরিক যার বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হয়েছে, এমন যেকোনো ব্যাক্তি বিশেষ প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ করে বছরের যেকোনো সময় জরুরিভাবে ভোটার হতে পারবেন।

প্রথমবারের মতো হিজড়া পরিচয়ে ভোটার হওয়া যাবে
এবার ভোটার তালিকা হালনাগাদের সময় নারী বা পুরুষের পাশাপাশি প্রথমবারের মতো হিজড়া সম্প্রদায়ের কেউ চাইলে, হিজড়া লিঙ্গ পরিচয়েও ভোটার হতে পারবেন। এর আগে হিজড়ারা নারী অথবা পুরুষ পরিচয়ে ভোটার তালিকায় নিবন্ধিত হতেন। যেসব হিজড়া নারী অথবা পুরুষ পরিচয়ে ভোটার হয়েছেন, তারাও ইচ্ছা করলে নিজ নিজ উপজেলা নির্বাচন অফিসে গিয়ে ফরম পূরণ করে হিজড়া পরিচয়ে নতুন করে ভোটার হতে পারবেন।

উল্লেখ্য, চলতি বছর ৮০ লাখ নতুন ভোটারের তথ্য সংগ্রহ করা হবে। এবার ভোটার তালিকায় হালনাগাদ কার্যক্রমে মোট তথ্য সংগ্রহকারী থাকবে ৫২ হাজার ৫০০ জন, সুপারভাইজার ১০ হাজার ৫০০, টেকনিক্যাল সাপোর্টে থাকবে ৬৪জন এবং রেজিস্ট্রেশন কেন্দ্র থাকবে ৭৮০ পয়েন্টে। প্রতি দুই হাজার নাগরিকের বিপরীতে একজন করে তথ্য সংগ্রহকারী নিয়োগ দেয়া হবে।

পাঁচজন তথ্য সংগ্রহকারীর জন্য থাকবেন একজন সুপারভাইজার। প্রতি ৭০ জন নাগরিকের জন্য একজন করে ডাটা এন্ট্রি অপারেটর নিয়োগ করা হবে।

প্রসঙ্গত, বর্তমানে দেশে ভোটার রয়েছেন ১০ কোটি ৪১ লাখ ৩৮১ জন।

সারাবাংলা/জিএস/এমও/এমএইচ

নতুন ভোটার ভোটার তালিকা হালনাগাদ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর