ঢাকা : নির্বাচনের কাজে নিয়োজিত পুলিশ সুপার (এসপি), রিটার্নিং কর্মকর্তা, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ কেউ নির্বাচনি আইন পরিপন্থী কোনো কাজ করলে তাদেরকে বিচারের মুখোমুখি হতে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা।
বুধবার (১৫ মে) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ইটিআই ভবনে পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিইসি এসব কথা বলেন।
নূরুল হুদা বলেন, ‘রিটার্নিং কর্মকর্তা, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা, তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে তারাও রেহাই পাবে না। হতে পারে পুলিশ সুপার, কিংবা নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা যে কেউ যেকোনো ধরনের অন্যায় করলে নির্বাচন আচরণ পরিপন্থি কাজ করলে প্রত্যেককেই বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। এ ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন কোনোরকম ছাড় দিবে না। ছাড় দেয়নি, দিতেও চায় না। সে কথাটা মনে রাখতে হবে।’
অতি উৎসাহীদের বিষয়ে সিইসি বলেন, ‘কোথাও কোথাও অতি উৎসাহী কাজ হয়ে থাকে। যেমন, গত নির্বাচনে এক জায়গায় দেখি মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল নিজে গিয়ে সিল-ছাপ্পর দিয়ে বাক্সে ঢুকানোর চেষ্টা করেছেন সহকর্মীদের নিয়ে। এই যে অবক্ষয়গুলো আপনাদের বলতে হবে প্রশিক্ষণ দেয়ার সময়।’
সিইসি বলেন, ‘এগুলা কেমন ধরনের আচরণ, যেখানে আপনাদের উপরে একটা নির্বাচনের সমস্ত দায়িত্ব অর্পিত থাকে, সেখানে রাতে গিয়ে আপনাদের প্রিজাইডিং অফিসাদের, যাদেরকে ন্যায় বিচারের প্রতিষ্ঠার জন্য নিয়োজিত করা হয়, তারা যদি এই কাজ করে তাহলে কীভাবে হবে। তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তারা আইনের সম্মুখিন হবে। তারা শাস্তি অবশ্যই পাবে।’
নূরুল হুদা বলেন, ‘নির্বাচনের পবিত্র দায়িত্ব আপনারা পালন করতে যাচ্ছেন। আমি আশা করি, কমিশন আশা করে যে, আপনাদের মাধ্যমে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব হবে।
উল্লেখ্য, আগামী ১৮ জুন চতুর্থ উপজেলা নির্বাচনের পঞ্চম ধাপের নির্বাচন। এই ধাপের নির্বাচনের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ২১ মে, যাচাই বাচাই ২৩ মে, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ৩০ মে।
সারাবাংলা/জিএস/ইএইচটি