হাসান আহমেদ কিরণসহ ১৩ জনকে মাইগ্রেশন মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড
২১ মে ২০১৯ ১৮:০৮
ঢাকা: অভিবাসন ইস্যু নিয়ে অনুসন্ধানী ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার স্বীকৃতি হিসেবে ব্র্যাকের মাইগ্রেশন মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড-২০১৮ পেয়েছেন ১৩ জন। এ বছর সাতটি ক্যাটাগরিতে সংবাদপত্র, টেলিভিশন, রেডিও, ফিচার, অনলাইনের জন্য ১৩ জন সাংবাদিককে এ অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার (২১ মে) ব্র্যাক সেন্টারে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে পররাষ্ট প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম এমপি সাংবাদিকদের এই পুরস্কার তুলে দেন।
২০১৮ এ জাতীয় সংবাদপত্রের নিবন্ধ ক্যাটাগরিতে ১ম পুরস্কার পেয়েছেন শ্রম অভিবাসন বিশ্লেষক হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ। একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত ‘নিরাপদ অভিবাসন’ শীর্ষক প্রবন্ধের জন্য তিনি এ পুরস্কার পান।
অনুষ্ঠানে অভিবাসনখাতে গণমাধ্যমের ভূমিকা বিষয়ে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন ডেলিগেশন অব ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) টু বাংলাদেশ’র কো-অর্ডিনেশন প্রধান (ভারপ্রাপ্ত) ডুয়্যর্ট বোস, আন্তজার্তিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) এর বাংলাদেশ মিশনের প্রধান গিওরগি গিগাওরি, ব্র্যাকের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ, মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের হেড শরিফুল ইসলাম হাসান প্রমুখ।
পুরস্কারপ্রাপ্ত অন্যান্য সাংবাদিকরা হচ্ছে সংবাদপত্র ক্যাটাগরিতে দ্য নিউ এইজ’র মুহাম্মদ ওয়াসিম উদ্দিম ভূঁইয়া, ডেইলি স্টারের পরিমল পালমা এবং দ্য ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেস’র আরাফাত আরা ও সিলেট ভিত্তিক দৈনিক জালালাবাদের মো. শাফী চৌধুরী।
টেলিভিশন ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পেয়েছেন ইন্ডিপেনডেন্ট টিভির মেজবাহুল ইসলাম, বাংলাভিশনের মিরাজ হোসেন গাজী, চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের মোর্শেদ আমিন।
রেডিও ক্যাটাগরিতে পুরস্কার জিতেছেন বাংলাদেশ বেতারের উপ-আঞ্চলিক পরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমান।
অনলাইন ক্যাটাগরির পুরস্কারজয়ীরা হলে প্রিয় ডটকম’র মো. ইমরুল কায়েস, বিডিনিউজ টেয়েন্টিফোর ডটকম’র আবদুল্লহ আল হোসাইন এবং বাংলা ট্রিবিউন’র সাদ্দিফ সোহরাব।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম তার বক্তব্যে সম্প্রতি ভূমধ্যসাগরে বাংলাদেশি নাগরিকদের মৃত্যুর ঘটনাকে অত্যন্ত দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘দালালদের মুখরোচক মিথ্যা আশ্বাসে অনেক নিরীহ মানুষকে বিদেশ যাওয়ার জন্য প্রাণ দিতে হচ্ছে। বর্তমান সরকার অনিরাপদ অভিবাসনের ব্যাপারে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করেছে। প্রবাসীকর্মীদের সমস্যা দূরীকরণে সরকার খুব দ্রুতই ১০ বছর মেয়াদী ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট দিতে যাচ্ছে।’
সারাবাংলা/একে