ট্রেন-বাসে এখনও স্বস্তির যাত্রা, চাপ বাড়বে কাল-পরশু
১ জুন ২০১৯ ১৫:৫৩
ঢাকা: প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে রাজধানী ছাড়তে শুরু করেছে লাখ লাখ মানুষ। ঘরমুখো মানুষের অধিকাংশের ভরসা বাস-ট্রেন। শনিবার সকাল থেকে রাজধানীর সায়েদাবাদ, মহাখালী গাবতলী বাস টার্মিনালে ঘরমুখো যাত্রীদের ভিড় দেখা গেছে। বাসের পাশাপাশি ট্রেনেও যাত্রীদের ভিড় বেড়েছে। রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ও বিমানবন্দর স্টেশন থেকে যাত্রীরা ট্রেনে করে গন্তব্যে যাওয়া শুরু করেছেন।
বাস ও ট্রেন কতৃপক্ষ জানান, ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের চাপ অনান্য বারের চেয়ে এবার কম। লম্বা ছুটি পাওয়ার কারণেই অনেকেই সুবিধামত সময়ে স্বস্তিতে যাত্রা করছেন। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে স্টেশন ও ঘাটে যাত্রী বাড়ছে। কাল ও পরশু সবেচেয়ে বেশি যাত্রী চাপ থাকবে বলে মনে করছেন তারা।
রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনাল থেকে উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বাস প্রতিদিন ছেড়ে যাবে গন্তব্যে। এছাড়া সায়েদাবাদ থেকে যাবে দক্ষিণাঞ্চল ও পূর্বাঞ্চলের জেলাগুলোর বাস। মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে উত্তরবঙ্গের নির্দিষ্ট কয়েকটি জেলা ও ময়মনসিংহ, শেরপুরের বাস ছেড়ে যাবে। এছাড়া ঈদে বিআরটিসির বাসও থাকবে যাত্রী পরিবহনে।
এ ছাড়া ঈদে নিয়মিত কোচের পাশাপাশি স্পেশাল কোচও থাকবে। শনিবার (১ জুন) ঢাকা থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে ছেড়ে যাচ্ছে ৫২টি ট্রেন। এরইমধ্যে ছেড়ে গেছে ৩০টি ট্রেন। বাকি ট্রেনগুলো ছেড়ে যাবে রাতের মধ্যেই। এদিকে সকাল থেকে চারটি ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয়ে পড়ে। এতে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। প্রায় ঘণ্টা দুয়েক পর আবার স্বাভাবিক হয় ট্রেন শিডিউল।
কমলাপুর স্টেশন ম্যানেজার আমিনুল হক রিপন জানান, যাত্রীরা বাড়ি যাওয়া শুরু করেছেন। যাত্রী চাপ আজ থেকে শুরু হয়েছে। কাল-পরশু যাত্রীচাপ বাড়তে পারে বলে জানান তিনি।
শনিবার (১ জুন) সকালে চিলাহাটিগামী নীল সাগর এক্সপ্রেস ও খুলনাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেস ছাড়া অন্য ট্রেনগুলো শিডিউল অনুযায়ী ছেড়ে গেছে। কয়েকটি ট্রেন ২০ থেকে ২৫ মিনিট বিলম্ব করছে। তবে এটিকে ঈদের যাত্রায় স্বাভাবিক ধরে নেওয়া হচ্ছে।
ট্রেনের পাশাপাশি বাসেও যাত্রী চাপ বাড়তে শুরু করেছে। দূরপাল্লার যাত্রীরা সকাল থেকেই গন্তব্যে যাওয়া শুরু করেছেন।
শনিবার দুপুরে মহাখালী বাস টার্মিনালে ঈদযাত্রা কার্যক্রম পরিদর্শন করতে আসেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। মন্ত্রী এ সময় বলেন, ‘ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এবারের যাত্রা অন্যবারের চেয়ে স্বস্তির হবে।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মহাসড়কগুলোর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের প্রবেশদ্বার সিরাজগঞ্জে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। চন্দ্রা এলাকায় ঢাকা টাঙ্গাইল মহাড়কে যান চলাচল বেলা বাড়ার সঙ্গে বেড়েছে। এদিকে গাজীপুরের জয়দেবপুর চৌরাস্তায় রাস্তায় বৃষ্টির পর পানি জমে আছে। যে কারণে এ সড়টিকে যান চলাচলে ধীরগতি রয়েছে।
তবে কোনো মহাসড়কের শনিবার বড়ধরনের যানজট বা জটলার খবর নেই বলে জানিয়েছে বিআরটিএর মনিটরিং ইউনিট।
সার্বক্ষণিক সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে বিআরটিএর বনানী প্রধান কার্যালয় থেকে ২৪ ঘণ্টা বিভিন্ন মহাসড়ক ও টোল আদায় কেন্দ্র পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
বিআরটিএ’র মনিটরিং টিম জানিয়েছে পাটুরিয়া ও মাওয়া ঘাটে যানবাহনের ভিড় নেই। শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি যাত্রীচাপ এখনও দেখা যাচ্ছে না। তবে সাধারণ সময়ের চেয়ে যান চলাচল এখন বেশি।
সারাবাংলা/এসএ/একে