বগুড়া-৬ আসনে ভোটগ্রহণ শেষ, চলছে গণনা
২৪ জুন ২০১৯ ১৭:৪১
ঢাকা: জাতীয় সংসদের বগুড়া-৬ (সদর) শূন্য আসনে উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই বিকেল ৫টা পর্যন্ত এই আসনে ভোটাররা নির্বিঘ্ন ভোট দিয়েছেন। ভোটগ্রহণ শেষে এখন চলছে ভোট গণনা।
সোমবার (২৪ জুন) সকাল ৯টায় একযোগে এ আসনের ১৪১ কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। নির্বাচনে প্রতিটি আসনের প্রতিটি কেন্দ্রেই ব্যালট পেপারের পরিবর্তে এবার ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন ব্যবহার করা হয়।
এই উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন সাত প্রার্থী। নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থী টি জামান নিকেতা, বিএনপি প্রার্থী জি এম সিরাজ। এছাড়াও জাতীয় পার্টির নুরুল ইসলাম ওমর, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের রফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মনসুর রহমান এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মিনহাজ মণ্ডল ও সৈয়দ কবীর আহম্মেদ মিঠু প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন নির্বাচনে।
উপনির্বাচনে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পেরে খুশি হয়েছেন ভোটাররাও। বগুড়া সদরের পল্লী মঙ্গল স্কুল কেন্দ্রে ভোট দিতে এসেছিলেন মরিয়ম বেগম।
ছেলে জুয়েল মিয়া জানান, দীর্ঘদিন ধরে আমার মা অসুস্থ হয়ে ঘরে পড়েছিল। চলাচল করতে পারে না। কিন্তু ইভিএম ভোট দেওয়ার শখ। তাই জঙ্গলপাড়া থেকে ব্যাটারিচালিত রিকশাযোগে ভোট কেন্দ্র পর্যন্ত নিয়ে আসি। কিন্তু রিকশা ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে না দেওয়ায় মাকে কোলে করে বুথে নিয়ে যাই। ইভিএমে ভোট দিতে পেরে আমার মা অনেক খুশি হয়েছেন।
বগুড়ায় পুলিশের গোয়েন্দা সংস্থা’র (ডিএসবি) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল জলিল জানান, নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হয়েছে। সুষ্ঠু পরিবেশে ভালোভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ায় আমরা সন্তুষ্ট। ভোটার ও প্রার্থীরা সহযোগিতা করেছেন বলে ভোট শান্তিপূর্ণ হয়েছে।
বগুড়া-৬ আসনের উপনির্বাচন ঘিরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যদের সর্বাত্মক প্রস্তুতি ছিল। সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে ১৪১টি ভোটকেন্দ্রের ভেতরে ও বাইরে পুলিশ, র্যাব ও আনসারের প্রায় সাড়ে ৩ হাজার সদস্য দায়িত্ব পালন করেন। টহলে ছিল বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের ১৫ প্লাটুন সদস্য। নির্বাচন সুষ্ঠু করতে ২৬ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ২৬টি ভ্রাম্যমাণ আদালত কাজ করেন।
নির্বাচনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৮৭ হাজার ৪৫৮জন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। নির্বাচনে বিএনপি থেকে নির্বাচিত ছয় জনের মধ্যে পাঁচ জন সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিলেও মির্জা ফখরুল শপথ নেননি। ফলে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী আসনটি শূন্য ঘোষণা করেন। পরে ২৪ জুন উপনির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করে তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।
সারাবাংলা/একে