‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের অবদান অপরিসীম’
২৯ জুন ২০১৯ ১৮:৪৭
ঢাকা: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ. ক. ম মোজাম্মেল হক এমপি বলেছেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের অবদান অপরিসীম। স্বাধীনতা চেতনাবিরোধীরা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকাকালীন যখন জাতির পিতার আত্মস্বীকৃত খুনিদের পুনর্বাসিত করেছে, স্বাধীনতা বিরোধীদের হাতে স্বাধীনতার লাল সবুজ পতাকা তুলে দিয়েছে, সদম্ভে ঘোষণা করেছে এখানে কোনো স্বাধীনতা যুদ্ধ হয়নি, নেই কোনো স্বাধীনতাবিরোধী। সেই সময়ে সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের আন্দোলন যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে জনমত সৃষ্টিতে অপরিসীম ভূমিকা রেখেছে।’
শনিবার (২৯ জুন) বেইলি রোডে অফিসার্স ক্লাবে এক অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আমরা একটি স্বাধীন দেশ পেয়েছি, আর তারই সুযোগ্য উত্তরাধিকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার দেশকে সমৃদ্ধরূপে গড়ে তুলতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।’
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন উদ্যোগের উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘একই নকশায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কবর তৈরি করা হবে। সকল বধ্যভূমি ও যুদ্ধের স্থানসমূহ সংরক্ষণের যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতির পিতার ঐতিহাসিক ৭ মার্চ এর ভাষণের স্থান, ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর মিত্র বাহিনীর দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার ঘোষণার স্থান এবং পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের স্থান সংরক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। প্রথম সরকারের শপথ গ্রহণের স্থান মুজিব নগরকে মুক্তিযুদ্ধের তীর্থস্থানে পরিণত করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানীভাতার পরিমাণ বৃদ্ধি করা হয়েছে এবং ভবিষ্যতে আরও বৃদ্ধি করা হবে।’
সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের সভাপতি মেজর জেনারেল (অব.) এ কে এম শফিউল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় কনভেনশনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হারুন হাবীব, ভাইস চেয়ারম্যান সেক্টর কমান্ডার লে. কর্নেল (অব.) আবু ওসমান চৌধুরী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সৈয়দ হাসান ইমাম, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক, জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান অধ্যাপিকা মমতাজ বেগম প্রমুখ।
এর আগে বেলুন উড়িয়ে কনভেনশনের উদ্বোধন করা হয় এবং জাতীয় সংগীত ও দেশাত্মবোধক সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে কনভেনশনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয় বিভিন্ন বিভাগ ও জেলা থেকে আসা প্রতিনিধিরা কনভেনশনে অংশ নেন।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/একে