চাকরি স্থায়ী করার দাবিতে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের হেড অফিস ঘেরাও
৭ জুলাই ২০১৯ ১৯:৩৩
ঢাকা: চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে রাজধানীর ইস্কাটনে অবস্থিত পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের হেড অফিস ঘেরাও করেন ব্যাংকটির সাড়ে আট হাজার কর্মচারী।
রোববার (৭ জুলাই) দুপুর ১২টায় সারাদেশ থেকে আসা পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের কর্মচারীরা হেড অফিস ঘেরাও করেন। প্রথমে পুলিশ বাধা দিলেও পরে বেলা দুইটা পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করার অনুমতি দেন।
রমনা জোনের অতিরিক্ত উপ কমিশনার আজিমুল হক বলেন, ‘তাদের যৌক্তিক আন্দোলন বেলা ২ টা পর্যন্ত করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এরপর তারা যার যার বাসায় চলে যেতে বলা হয়েছে।’
আন্দোলনকারীদের দাবি, ২০১৬ সালে তাদের চাকরি স্থায়ীকরণের প্রজ্ঞাপন জারি করা হলেও নানা টালবাহানায় সেটি করা হয়নি। বরং নতুন করে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে। নিয়োগকৃত নতুনরা নিয়মিত বেতন পেলেও আগে নিয়োগ পাওয়া কর্মচারীদের বেতন গত তিন মাস থেকে বকেয়া পড়ে রয়েছে।
সুনামগঞ্জ থেকে আসা রিটন দাস বলেন, ‘তিন মাস হলো বেতন পাই না। এখন শুনছি, আমার পদে আরেকজনকে নিয়োগ করা হচ্ছে। অথচ আমাদের চাকরি স্থায়ীকরণের জন্য ২০১৬ সালে প্রজ্ঞাপন হয়েছে। এরপরেও নতুন করে নিয়োগ দিচ্ছে। এই নিয়োগের ফলে মোটা অঙ্কের টাকা লেনদেন হচ্ছে বলে জানতে পেরেছি। এরই মধ্যে তোফায়েল আহমেদ নামে একজন হিসাবরক্ষক ৩৫ লাখ টাকাসহ ধরা পড়ে জেলে আছে।’
কুমিল্লা থেকে আসা কামাল হোসেন বলেন, ‘আমরা এই ব্যাংকটিকে শুরু থেকে কষ্ট করে গড়ে তুলেছি। খেয়ে না খেয়ে কাজ করেছি। আর এখন আমাদের বাদ দিয়ে নতুন নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে যা মেনে নেব না কখনোই। চেয়ারম্যান ও ব্যাবস্থাপনা পরিচালক কারসাজি করছে নিয়োগের নামে। প্রতিবাদ করলে শোকজ করে।’
ময়মনসিংহের গৌরীপুর থেকে আসা সাকোয়ার হোসেন বলেন, ‘আগের নিয়োগ পাওয়া সাড়ে ৮ হাজার কর্মচারীর চাকরি আগে স্থায়ী হবে এরপর নতুন নিয়োগ দিলে সমস্যা নাই। আমাদের চাকরি না থাকলে আমরা আমরণ অনশনে যাব।’
পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক কর্মচারী সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সোলায়মান বলেন, ‘চাকরি স্থায়ীকরণের জন্য আজকে অফিস সময় পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে চাকরি স্থায়ীকরণের ঘোষণা আসতে হবে। না হলে আমরা প্রেস ক্লাবের সামনে আমরণ অনশনে বসব।’
এর আগে গতকাল কর্মচারীরা জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে ব্যাংকটির চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দুর্নীতির চিত্রও তুলে ধরেন।
সারাবাংলা/ইউজে/একে