Friday 06 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘ভৌতিক বিধিমালায় আত্তীকরণ বঞ্চিত ৩ শতাধিক কলেজ শিক্ষক’


৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ১৮:২৮

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: ২০০০ সালের আত্তীকরণ বিধিমালা ভৌতিক। এ বিধিমালার  প্রণয়নের মাধ্যমে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কিছু কর্মকর্তা সরকারকে বিতর্কিত করার চক্রান্ত করছেন। কোনো তালবাহানা  না করে সরকারি কলেজের বঞ্চিত শিক্ষকদের দ্রুত আত্তীকরণ করে হয়রাণি বন্ধ করতে হবে। এর মাধ্যমে শিক্ষকদের অধিকার হরণ করা হলে তা কোনো ভাবেই গ্রহণ যোগ্য হবেনা। দেশের সুশীল সমাজ থেকে শুরু করে সব মহলে এর প্রতিবাদ হবে।

সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে আত্তীকরণ বঞ্চিত শিক্ষক ও শিক্ষা-কর্মী জাতীয় ঐক্য আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বক্তারা।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরো ও সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক মেসবাহ কামাল, ঐক্য ন্যাপের সভাপতি পঙ্কজ ভট্টাচর্য, জাতীয়করণ বঞ্চিত শিক্ষক ও শিক্ষা-কর্মী জাতীয় ঐক্যের সদস্য সচিব হারুন সিদ্দিকী সাপলু, জাতীয় ঐক্যের সদস্য ইব্রাহিম খাঁ সরকারি কলেজের প্রভাষক পারভীন আক্তার, বাউফল সরকারী কলেজের ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক মো. বদরুল ইসলাম।

কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ, কবি জসীম উদ্দীন, শিক্ষাবিদ দুর্গা দাশ ভট্টাচর্যের শিক্ষা জীবনেও তৃতীয় বিভাগ ছিলো। বর্তমানে সরকার যে আত্তীকরণ বিধিমালা করেছে তাতে তাদের কর্মজীবনও ব্যর্থ হয়ে যায়।

শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদকে ব্যর্থ আখ্যা দিয়ে আবুল মকসুদ আরো বলেন, শিক্ষা জীবনে তিনি ডিগ্রি পাস। তিনি কীভাবে মাস্টার্স পাস শিক্ষকদের যোগ্যতা নির্ধারণ করে দেন। তার জীবনে প্রশ্নপত্র ফাঁস ছাড়া কোনো অর্জণ নেই। তিনি শিক্ষক-কর্মকর্তাদের সহনীয় পরিমানের ঘুষ গ্রহনের পরামর্শ দেন।  তার পদত্যাগ করা উচিত।

সৈয়দ ফজলে হোসেন বাদশা শিক্ষকদের আত্তীকরণের দাবিকে সমর্থন জানিয়ে বলেন, জাতীয় সংসদে এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে। আমরা শিক্ষকদের সব যৌক্তিক দাবিকে সমর্থন জানাই। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে মাত্র ৩০ মিনিটে আমার নিজের এলাকার কলেজ সরকারী করণ করা হয়েছে। এখন সেখানকার কিছু শিক্ষককে আত্তীকরণ হয়েছে। পাঁচ বছর পর এসে বাকি শিক্ষকদের আত্তীকরণ করা হচ্ছে না। এটা একটা তামাশা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক মেসবাহ কামাল বলেন, ভৌতিক নীতিমালার মাধ্যমে প্রায় ৩শ শিক্ষককে আত্তীকরণ থেকে বঞ্চিত করার পাঁয়তারা করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের কিছু কর্মকর্তার এ চক্রান্ত দেশের জন্য, শিক্ষকের জন্য অবমাননাকর।

জাতীয়করণ বঞ্চিত শিক্ষক ও শিক্ষা-কর্মী জাতীয় ঐক্যের সদস্য সচিব হারুনুর রশীদ সাপলু বলেন, সরকার ২০০১ সালে ২০০০ বিধি সংশোধন করে ১৮টি মহিলা কলেজের শতাধিক শিক্ষককে যেভাবে আত্তীকরণ করেছে এই ৪২ কলেজের ৩শ শিক্ষককেও সেভাবেই আত্তীকরণ করতে হবে।

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সাল পর্যন্ত সরকারি হওয়া কলেজগুলোর মধ্যে আত্তীকরণ বঞ্চিত হয় ৪২ কলেজের তিন শতাধিক শিক্ষক, প্রদর্শক ও সহকারী লাইব্রেরিয়ান। ২০০০ সালের বিধিমালার কারণে কলেজ সরকারি করার পরেও এসব শিক্ষকরা ক্যাডারভুক্ত হওয়ার সুযোগ বঞ্চিত হন।  এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষকরা আন্দোলন করছেন।

সারাবাংলা/এমএস


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

৯০০তম গোলে ইতিহাস গড়লেন রোনালদো
৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৯:০৪

সম্পর্কিত খবর