ইউনিক মেঘনাঘাট পাওয়ারে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে চুক্তি সই
২৫ জুলাই ২০১৯ ২০:৪১
ঢাকা: নারায়ণগঞ্জ মেঘনাঘাট থেকে ৫৮৪ মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎ কিনতে ক্রয় চুক্তি করেছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)। গত বুধবার পিডিবি ও অন্যান্য সরকারি সংস্থার সঙ্গে ২২ বছর মেয়াদী বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি স্বাক্ষর করেছে ইউনিক মেঘনাঘাট পাওয়ার লিমিটেড।
ইউনিক মেঘনাঘাট পাওয়ার লিমিটেড (ইউএমপিএল) নারায়ণগঞ্জের মেঘনাঘাটে ৫৮৪ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন প্রাকৃতিক গ্যাসভিত্তিক কম্বাইন্ড সাইকেলের বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করতে যাচ্ছে। প্রাকৃতিক গ্যাস অথবা এলএনজি থেকে রূপান্তরিত গ্যাস থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে ইউনিক মেঘনাঘাট পাওয়ার লিমিটেড। এটা হবে দেশের অন্যতম বৃহৎ বিদ্যুৎ কেন্দ্র, যারা গ্যাসের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে।
অনুষ্ঠানে এই কেন্দ্রে ব্যবস্থাপনা পরিচালক চৌধুরী নাফিজ সরাফত বলেন, প্রধানমন্ত্রী দেশের ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়ার যে অঙ্গীকার করেছেন, সেটা বাস্তবায়নে ইউনিক মেঘনাঘাট বিদ্যুৎ কেন্দ্র বড় ভূমিকা রাখবে। বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতে ইউনিক গ্রুপ নিজেদের একটা অবস্থান তৈরি করতে চলেছে। মেঘনাঘাট বিদ্যুৎ প্রকল্পটি আমাদের এই প্রয়াসেরই প্রমাণ। জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহের মাধ্যমে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বাংলাদেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নে অবদান রাখবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। এছাড়া উপস্থিত প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক প্রধান সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ, ইউএমপিএল চেয়ারম্যান নূর আলী, ইউএমপিএল ব্যবস্থাপনা পরিচালক চৌধুরী নাফিজ সরাফত, মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল আর মিলার, বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব আহমেদ কায়কাউস, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব আবু হেনা মো. রাহমাতুল মুনিম এবং পেট্রো বাংলার চেয়ারম্যান মো. রুহুল আমিনসহ অন্যরা।
ঢাকার অদূরে নারায়ণগঞ্জে প্রায় ১৯ একর জমিতে নির্মিত হবে এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে। এতে খরচ হবে ৫২০ মিলিয়ন ডলার। ২০২২ সালের মধ্যে এটি উৎপাদনে যাবে। এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে উৎপাদিত বিদ্যুৎ প্রায় সাত লাখ বাড়িতে সরবরাহ করা যাবে।
মার্কিন কোম্পানি জিই টার্ন-কি বেসিসে (নির্মাণ শেষে হস্তান্তর) বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণ করবে। এতে থাকবে একটি ৯এইচএ.০১ গ্যাস টারবাইন, একটি হিট রিকভারি স্টিম জেনারেটর (এইচআরএসজি), একটি স্টিম টারবাইন জেনারেটর, কনডেন্সার ও আনুষঙ্গিক অন্যান্য যন্ত্রপাতি।
সারাবাংলা/এইচএ/একে