Saturday 07 Jun 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

দ্রুততম সময়ে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান


২৬ জুলাই ২০১৯ ০০:৩০ | আপডেট: ২৬ জুলাই ২০১৯ ০২:৩৬
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন (ফাইল ছবি)

ঢাকা: রোহিঙ্গাদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমার সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

তিনি বলেন, ‘মিয়ানমার আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র। এর আগেও রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে এসেছিল এবং মিয়ানমার তাদের ফেরত নিয়েছে। আমরা আশা করছি, দ্রুততম সময়ের মধ্যে তারা তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নেবে।’

বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) সন্ধ্যায় রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে ‘রোহিঙ্গা সংকট এবং আশ্রয় দেওয়া দেশে প্রভাব’ বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারকে সমর্থনকারী দেশ রাশিয়া এবং চীনও এখন রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন চায়। এই সমস্যা যেহেতু মিয়ানমার তৈরি করেছে, তাই তাদেরকেই এই সমস্যা সমাধান করতে হবে। এবং নিজের দেশের মানুষের সঙ্গে উদারতা দেখাতে হবে।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের কারণে স্থানীয় জনগোষ্ঠী ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। মজুরি কমে গিয়ে জীবন ব্যয় বেড়ে গেছে।

তিনি বলেন, আমরা রোহিঙ্গাদের সম্মানজনক ও নিরাপদ প্রত্যাবাসন চাই। মিয়ানমারকে নিজ স্বার্থে রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে হবে। তারা বাংলাদেশে দীর্ঘদিন থাকলে এ অঞ্চলের নিরাপত্তা ও শান্তি বিঘ্নিত হবে।

পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই) এবং ইউএনডিপি আয়োজিত এই কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্যে পিআরআই’র নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, বিশ্বের ৫ শতাংশ উদ্বাস্তু রোহিঙ্গা বাংলাদেশে বাস করছে। এসব রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরা বিশ্ব সম্প্রদায়কে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে জোরালো চাপ সৃষ্টি করতে হবে।

ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জি বলেন, রোহিঙ্গা শরণার্থীর জন্য বাংলাদেশ নিজেদের সীমান্ত উন্মুক্ত করে দিয়ে উদারতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে সত্য। তবে এর ফলে বহুবিধ সংকটেরও মুখোমুখি হতে হচ্ছে। বাংলাদেশ দেশ হিসেবে ছোট হতে পারে তবে তাদের মন অনেক বড়ো। এখন রোহিঙ্গাদের সম্মানজনক ফেরত পাঠানোর কোনো বিকল্প নেই।

পিআরআই’র গবেষণা পরিচালক ড. এম.এ. রাজ্জাক বলেন, রোহিঙ্গারা আসার পর কক্সবাজারের আর্থ-সামাজিক, ভৌগোলিকসহ নানা ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। টেকনাফে একশ’ শতাংশ এবং উখিয়াতে ৮০ শতাংশ পরিবেশ সম্পূর্ণভাবে প্রভাবিত হয়েছে।

সারাবাংলা/টিএস/ইএইচটি

ড. এ কে আব্দুল মোমেন পররাষ্টমন্ত্রী মিয়ানমার রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর