Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সজীব ওয়াজেদ জয়ের জন্মদিন শনিবার


২৬ জুলাই ২০১৯ ২৩:২৪

ঢাকা: জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্র, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের কারিগর এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের জন্মদিন শনিবার।

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ সালের ২৭ জুলাই ঢাকায় পরমাণু বিজ্ঞানী এম এ ওয়াজেদ মিয়া ও শেখ হাসিনার প্রথম সন্তান জয়ের জন্ম। নানা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রিয় এই নাতির নাম রাখেন জয়।

বিজ্ঞাপন

১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর মায়ের সঙ্গে বাবার কর্মস্থল জার্মানি হয়ে ভারতে যান সজীব ওয়াজেদ জয়। তার শৈশব-কৈশোর কাটে ভারতে। নৈনিতালের সেন্ট জোসেফ কলেজে লেখাপড়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস অ্যাট আর্লিংটন থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে স্নাতক পাস করেন জয়। পরবর্তী সময়ে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লোক প্রশাসনে স্নাতকোত্তর অর্জন করেন তিনি। ২০০২ সালের ২৬ অক্টোবর ক্রিস্টিন ওয়াজেদকে বিয়ে করেন জয়। তাদের সন্তানের নাম সোফিয়া ওয়াজেদ।

আওয়ামী লীগ সরকারের টানা তৃতীয় মেয়াদে দলীয় কার্যক্রমে প্রত্যক্ষভাবে সম্পৃক্ত না হলেও ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন সজীব ওয়াজেদ জয়।

২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে নির্বাচনি ইশতেহার ঘোষণা করে সরকার গঠন করার পর থেকে আজ অবধি প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা হিসেবে তিনি বিভিন্ন পদক্ষেপ ও পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সক্রিয়ভাবে ভূমিকা পালন করছেন।

২০১০ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি জয় রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্যপদ গ্রহণ করেন। এর মধ্য দিয়ে তিনি দলীয় রাজনীতিতে আসেন। নবম ও দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নেন ও দেশের বিভিন্ন এলাকা সফরের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের মনোবল চাঙ্গা করার পাশাপাশি সাধারণ মানুষের মাঝেও বেশ ভালো প্রভাব সৃষ্টি করতে সক্ষম হন।

বিজ্ঞাপন

বর্তমানে তার মা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা হিসাবে দায়িত্বপালন করছেন। ২০১৬ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদে দায়িত্বশীল পদপ্রাপ্তি নিয়ে গুঞ্জনের ডালপালা ভারি হয়ে থাকে। কিন্তু সবকিছু উড়িয়ে দিয়ে দলের কোনো গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন হতে অনীহা প্রকাশ করেন তিনি।

এরইমধ্যে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার পেছনে নেপথ্য কারিগর হিসাবে দেশে-বিদেশে সুনাম ছড়িয়ে দিতে সক্ষম হয়েছেন বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র জয়। এর ধারাবাহিকতায় ২০০৭ সালে তিনি ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম কর্তৃক গ্লোবাল লিডার অব দ্য ওয়ার্ল্ড হিসেবে নির্বাচিত হন। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ইশতেহারে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার বিষয়টি সামনে নিয়ে আসেন জয়। সেই থেকে  জনগণের দোরগোঁড়ায় তথ্য-প্রযুক্তির সেবা হাতের নাগালে পৌঁছে দেওয়ার অভিপ্রায়ে কখনো দেশে, কখনো বিদেশে অবস্থান করে কাজ করছেন তথ্য-প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ জয়।

২০১৪ সালের ১৭ নভেম্বর সজীব ওয়াজেদ জয়কে অবৈতনিকভাবে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি-বিষয়ক উপদেষ্টা পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। সরকারের পাশাপাশি দলীয় ঘরানা ছাড়াও তথ্য-প্রযুক্তি, রাজনীতি, সামাজিক, অর্থনৈতিক, শিক্ষা-বিষয়ক বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তরুণ উদ্যোক্তা তৈরি করার লক্ষ্যে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন।

দেশ গঠনে তরুণদের মতামত, পরামর্শ শুনতে ‘লেটস টক’ ও ‘পলিসি ক্যাফে’ দুটি কর্মসূচি এরইমধ্যে বেশ সাড়া ফেলেছে। এছাড়াও তরুণ উদ্যোক্তা ও নেতৃত্বকে একসঙ্গে যুক্ত করার পাশাপাশি প্রশিক্ষিত করতে তরুণদের বৃহত্তম প্ল্যাটফর্ম ‘ইয়াং বাংলার’ সূচনা করেন তিনি। বর্তমানে বেশির ভাগ সময়েই দেশের বাইরে অবস্থান করলেও জাতীয় রাজনীতি ও সরকারের গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে মাঝে মাঝে ফেসবুকে মতামত ব্যক্ত করেন।

চলতি ১৭ জুলাই মাসে বিকেলে আগারগাঁও তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে এক অনুষ্ঠানে নাগরিকদের পরিচয় শনাক্তকরণের সেবা সার্ভিস ওয়েবসাইট এর উদ্বোধন করেন জয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জয় বলেন, ‘মানুষের জীবনকে সহজ করার জন্য আমাদের টার্গেট প্রায় ৯০ শতাংশ সরকারি সেবা মোবাইলে থাকবে, আঙুলের সঙ্গে থাকবে। সাধারণ নাগরিকদের জীবনের সহযোগিতা করে সময় বাঁচানোর কাজ, এটাই হচ্ছে ডিজিটাল বাংলাদেশের মিশন।’

এর আগে ১০ জুলাই) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ: সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি’ শীর্ষক এক কর্মশালায় প্রধান আলোচক হিসেবে অংশ নেন তিনি।

একাদশ জাতীয় সংসদের সংসদ সদস্যদের ডিজিটাল প্রযুক্তিতে দক্ষতা বৃদ্ধিতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আওতায় জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের আইসিটি অবকঠামো, মানব সম্পদ এবং প্রযুক্তি দক্ষতা উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় অনুষ্ঠিত হয়। এতে সজীব ওয়াজেদ জয় সংসদ সদস্যদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমাদের ডিজিটাল বাংলাদেশের ভিশনটি শুধু ২০২১ সালে শেষ না। আমরা প্ল্যানিং করছি আগামী ১৫ বছর। আর আমরা যদি দেশের মানুষকে এই সুবিধা এই উন্নয়ন দিয়ে যেতে পারি, আমার আশা আছে, বাংলাদেশের মানুষ আওয়ামী লীগকে আগামীতেও ভোট দিয়ে ক্ষমতায় রাখতে পারে।’

জয় জয়ের জন্মদিন প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয়

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর