‘অবৈধভাবে টেলি নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে সংগঠিত হচ্ছে রোহিঙ্গারা’
৩১ আগস্ট ২০১৯ ২২:৪৮
ঢাকা: অবৈধভাবে টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে রোহিঙ্গারা সংগঠিত হচ্ছে বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ। শনিবার (৩১ আগস্ট) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ দাবি করেন।
মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, দুই বছর আগে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে জাতিগত দাঙ্গায় রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন ও গণহত্যা শুরু হলে প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে। মানবিক দিক বিবেচনায় সরকার তাদের টেকনাফে সাময়িক সময়ের জন্য আশ্রয় দেয়। আশ্রয় নেওয়ার সময় টেকনাফের এক শ্রেণির অসাধু ব্যক্তি পাঁচশ থেকে ১ হাজার টাকার বিনিময়ে রোহিঙ্গাদের কাছে মোবাইল ফোনের সিম বিক্রি করে। এর প্রতিবাদে মানববন্ধন করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছিলাম। কিন্তু নিয়ন্ত্রক সংস্থা বা সরকার কানে তোলেনি।’
তিনি বলেন, ‘তিন দিন আগে রোহিঙ্গা আগমনের দুই বছর পূর্তি উপলক্ষে লাখ লাখ রোহিঙ্গা হঠাৎ করে জমায়েত হয়ে জনসভা করে। পররাষ্ট্র মন্ত্রীও বলেছেন সরকার এ বিষয়ে কিছুই জানতো না। আমরা গত দুদিন টেলিভিশনের পর্দায় এক রোহিঙ্গা নেতার স্বাক্ষাৎকারে লক্ষ্য করলাম তিনি মুঠোফোনে বিভিন্ন ভিডিও গণমাধ্যমকর্মীদের দেখাচ্ছিলেন এবং সেই নেতা অনলাইন টেলিভিশনে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের খবর প্রচারের কথা স্বীকারও করেন।’
মহিউদ্দিন আরও বলেন, ‘আমাদের নিজস্ব লোকজনের মাধ্যমে খোঁজ নিয়ে দেখেছি রোহিঙ্গারা কথা বলা ছাড়াও থ্রি-জি, ফোর-জি সেবা গ্রহণ করছে। সীমান্তের ওপারে নেটওয়ার্ক সম্প্রসারিত থাকায় বিষয়টি উদ্বেগজনক। সরকার যদি দ্রুত এ ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণ না করে তাহলে ভবিষ্যতে রোহিঙ্গারা আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। কারণ ইন্টারনেটের গ্রুপ চ্যাটিংয়ের মাধ্যমে দ্রুতই তারা লাখ লাখ লোক সমবেত করতে পারে।’