মনু হাজী হত্যায় শাহাদাতসহ পাঁচ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ১৬:৪৩
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা: ২০০৬ সালে রাজধানীর মিরপুরে সেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মনির উদ্দিন ওরফে মনু হাজি হত্যা মামলায় শীর্ষ সন্ত্রাসী শাহাদাতসহ পাঁচ আসামীর মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।
প্রায় এক যুগ আগের মামলায় ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার বিচারপতি ভবানী প্রসাদ সিংহ ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ ও সহকারি অ্যাটর্নি জেনারেল নির্মল কুমার দাস। আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট শ. ম রেজাউল করিম ও অ্যাডভোকেট সরোয়ার হোসেন।
মৃত্যদন্ড প্রাপ্ত পাঁচ আসামী হলেন- শীর্ষ সন্ত্রাসী শাহাদাত, মো. মিন্টু, মো. মাসুদুর রহমান তোতা ওরফে তোতলা মাসুদ, লিটন হোসেন লোটাস ওরফে নূরুজ্জামান, মো. নোমান ইবনে বাশার ওরফে বাবু।
এ মামলায় মাসুদুর রহমান সোহেল এবং মো. হাসান সারওয়ার জিকুকে মৃত্যদণ্ড থেকে কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া জাহানারা নামে আরেক আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রাখেন আদালত।
মামলায় ২০১৫ সালের ৩০ মার্চ এ মামলায় সাতজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিলেন বিচারিক আদালত।
মামলা সূত্র জানা যায়, ২০০৬ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মিরপুরের শাহআলী বাগের বাসার সামনে মিলাদ মাহফিলের তবারক বিতরণ শেষে খুন হন ১২ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা মনু হাজি।
আসামিরা মনুকে পরপর আটটি গুলি করে পালিয়ে যায়। এতে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান।
হত্যাকাণ্ডের দিনই নিহতের ভাই মো. আকবর আলী থানায় মামলা করেন। মামলায় অভিযোগ করা হয়, শাহাদাত ও মিন্টু মিরপুর এলাকার ব্যবসায়ী মনুর কাছে এক কোটি টাকা চাঁদা না পেয়ে এই হত্যাকাণ্ড ঘটায়।
এই মামলায় সোহেল,জিকু,লিটন ও টিভিএস বাবু কারাগারে থাকলেও বাকিরা পলাতক আছে।
সারাবাংলা/ এজেডকে/এমএস