প্রশ্নফাঁসে নজরদারি করা কঠিন:শিক্ষামন্ত্রী
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ১৯:৫১ | আপডেট: ৫ নভেম্বর ২০১৮ ১৯:৩৮
সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা: প্রশ্নপত্র ফাঁস ঠেকাতে সরকার নানামূখী প্রচেষ্টা করছে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, প্রশ্নফাঁস ঠেকানো দুরুহ কাজ। প্রশ্নপত্র প্রণয়ন থেকে শুরু করে কেন্দ্রে পৌঁছানো পর্যন্ত যে ধাপগুলো রয়েছে তার সবগুলো ধাপে কঠোর নজরদারি রাখা সম্ভব হয় না। যে কাজে হাজার হাজার ব্যক্তির সংশ্লিষ্টতা সেখানে ক’জনাকে পাহারা দেওয়া যাবে।
বুধবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নফাঁস নিয়ে সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম মিলনের লিখিত এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন নুরুল ইসলাম নাহিদ।
শিক্ষা মন্ত্রী বলেন, পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস রোধে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন-মুদ্রণ ও বিতরণের স্থলে সিসি ক্যামেরা স্থাপন, প্রেসে প্রশ্নপত্র মুদ্রণের সঙ্গে জড়িতদের গোয়েন্দা নজরদারি রাখা, প্রশ্নপত্র মুদ্রণ ও ট্রাংকজাত করার সময় তদারকি দল গঠন, পরীক্ষার সময়সূচি ও পুন:নির্ধারণ করে দুটি বিষয়ের পরীক্ষার সময়ে ব্যাপ্তি কমিয়ে পরীক্ষার সময়কাল কমিয়ে আনা ইত্যাদিসহ বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
এমনকী পরীক্ষার্থীদের মোবাইল ফোনের সুবিধা-সম্বলিত ঘড়ি, কলম যে কোনো অনুমোদনহীন ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস ব্যবহার নিষিদ্ধ করা এবং পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র খোলার নির্দেশনা জারি করা হয়।
প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা প্রসঙ্গেশিক্ষামন্ত্রী তার বক্তব্যে আরও বলেন, সদ্য সমাপ্ত এসএসসি পরীক্ষায় বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশ্ন ফাঁসের গুজবের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ইতোমধ্যে ৫২টি মামলায় ১৫২ জনকে গ্রেফতার করেছে। এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
সারাবাংলা/এমএস