Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

কারাবাসের এক মাস, রোববার নথি যাচ্ছে হাইকোর্টে


৮ মার্চ ২০১৮ ০৯:৩৭

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কারাবাসের একমাস পূর্ণ হল আজ। গত ৮ ফেব্রুয়ারি এ মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিষেশ জজ- ৫ এর বিচারক ড. আখতারুজ্জামান। দণ্ডাদেশের পরপরই তাকে পুরান ঢাকার পরিত্যাক্ত কেন্দ্রীয় করাগারে রাখা হয়।

এর আগে ২০০৭ সালে ৩ সেপ্টেম্বর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে যৌথবাহিনীর হাতে খালেদা জিয়া গ্রেফতার হন। এক বছর নয় দিন সংসদ ভবন এলাকায় বিশেষ জেলে বন্দি থাকার পর ২০০৮ সালে ১১ সেপ্টেম্বর ছাড়া পান তিনি।

এরশাদ সরকারের আমলে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের সময় ১৯৮৩, ১৯৮৪ এবং ১৯৮৭ সালেও গ্রেফতার হন খালেদা জিয়া। ওই সময় তাকে মইনুল হোসেন রোডের নিজ বাসায় রাখা হয়।

এবারই প্রথম কোনো মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাবাসের একমাস পূর্ণ করলেন তিনি। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধ সরকারি এতিম তহবিলের আর্থিক জিম্মাদার হয়ে বা তহবিল পরিচালনার ভারপ্রাপ্ত হয়ে অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গ করে পরস্পর যোগসাজশে দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়। যা আদালতে প্রমাণিত হওয়ায় দণ্ডবিধির ৪০৯ ও ১০৯ ধারার অপরাধে খালেদা জিয়াকে ৫ বছরে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

গত ২৫ ফেব্রূয়ারি খালেদা জিয়ার জামিনের আবেদন শুনানি করেছেন তার আইনজীবী। এদিন হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় খালেদা জিয়ার আপিল এবং জামিনের আবেদন জমা দেন তার আইনজীবীরা।

রায়ের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার আপিলের গ্রহণযোগ্যতার শুনানির জন্য হাইকোর্টের কার্য তালিকায় তোলা হয়। এতে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ খালেদা জিয়ার আপিল  শুনানির জন্য গ্রহণ করেন। এজন্য ১৫ দিনের মধ্যে সব নথি বিচারিক আদালতে জমা দেয়ার নির্দেশ দেন নিম্ন আদালতকে।

বিজ্ঞাপন

২৫ ফেব্রুয়ারি নিম্ন আদালতকে ১৫ দিনের মধ্যে সব নথি বিচারিক আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। কিন্তু ১০ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো তা জমা পড়েনি।

বিশেষ জজ-৫ এর পেশকার মোকাররম হোসেন সারাবাংলাকে বলেন, নথির সমস্ত কাজ প্রায় শেষের দিকে। আগামী রোববার নথি হাইকোর্টে পৌঁছে যাবে বলেও জানান মোকাররম।

এদিকে খালেদা জিয়ার আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেসবাহ বলেন, এই মামলাটি রাজনৈতিকভাবে দায়ের করা হয়েছে। হাইকোর্ট থেকে নিম্ন আদালতকে ১৫ দিন সময় দেওয়া হয়েছে। আশা করি এ সময়ের মধ্যে আদালতে নথি পৌঁছে যাবে। যদি ১৫ দিনের মধ্যে হাইকোর্টে নথি না পৌঁছায় তবে জ্যেষ্ঠ আইনজীবীদের পরামর্শ নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

সারাবাংলা/এআই/আইএ

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর