Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ত্রিভুবনে ইউএস-বাংলা বিধ্বস্তে নিহত ৪০, হাসপাতালে ২৫


১২ মার্চ ২০১৮ ১৬:০৯

ঢাকা: নেপালের কাঠমান্ডুতে ঢাকা থেকে যাওয়া ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে অন্তত ৪০ জন নিহত হয়েছেন বলে নেপালি সংবাদ মাধ্যমগুলোর বরাত দিয়ে জানাচ্ছে হিন্দুস্থান টাইমস। হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে অন্তত ২৫ জনকে। ত্রিভুবন এয়ারপোর্ট স্থানীয় সময় ২টা ২০ মিনিটে বিএস-২১১ ফ্লাইটটি অবতরণের মুখে বিধ্বস্ত হয়।

ঘটনার পরপরই বিমান বন্দর থেকে একজন প্রত্যক্ষদর্শী সারাবাংলাকে ফ্লাইটটি বিধ্বস্ত হওয়ার খবর টেলিফোনে জানান।

বিজ্ঞাপন

কাঠমান্ডুতে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিমান বিধ্বস্ত

নেপালে বাংলাদেশ দূতাবাসের হটলাইন 

সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই সিভিল এভিয়েশনের কাছে

Posted by Suraj Kunwar on Monday, 12 March 2018

 

নেপালের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম থেকেও এই দুর্ঘটনার খবর প্রকাশিত হতে থাকে। সবশেষ তথ্যে জানা যাচ্ছে- ফ্লাইটিতে ৬৭ জন আরোহী ছিলেন। তাদের মধ্যে প্রথম দিকেই উদ্ধার করে ১৭ জনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। বাকি ৪০ জন নিহত হওয়ার খবর দিচ্ছে বিভিন্ন মাধ্যম।

হিমালয়ান টাইমস জানাচ্ছে-  দুর্ঘটনায় ৪০ জন নিহত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। আর কাঠমাণ্ডু মেডিকেল কলেজের বরাত দিয়ে বিমানবন্দরের মুখপাত্র প্রেমনাথ ঠাকুরকে উদ্ধৃত করে বলা হচ্ছে বিভিন্ন হাসপাতালে আহত অবস্থায় অন্তত ২৫ জনকে পাঠানো হয়েছে।

তাদের কাঠমাণ্ডু মেডিকেল কলেজ, নরভিক ইন্টারন্যাশনাল হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

নেপাল পুলিশের মুখপাত্র ডিআইজি মনজো নেওপানের বরাত দিয়ে কাঠমাণ্ডু পোস্ট জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ৪০ জনের নিহতের খবর পাওয়া গেছে।

বিজ্ঞাপন

দেশটির ট্যুরিজম মিনিস্ট্রিম যুগ্নসচিব সুরেশ আচার্যের বরাত দিয়ে কাঠমাণ্ডু পোস্ট জানায়, আরোহীদের মধ্যে ৩৭ জন পুরুষ ২৭ জন নারী ও দুটি শিশু ছিলো।

নেপালের সিভিল অ্যাভিয়েশনের মহাপরিচালক সঞ্জীব গৌতমকে উদ্ধৃত করে কাঠমাণ্ডু পোস্ট জানায়, অবতরণের সময়ে বেশ অস্বাভাবিক আচরণ দেখা যায় ফ্লাইটিতে। সেটি অনেকটা নিয়ন্ত্রণহীন ছিলো। রানওয়ের দক্ষিণ দিকে অবতরণের অনুমতিও দেওয়া হয়েছিলো। কিন্তু দক্ষিণ দিকের অনুমতি নিয়ে সেটি উত্তর দিকের রানওয়েতে ল্যান্ড করে।

তিনি সন্দেহ করছেন, কোনও কারিগরি ত্রুটির কারণেই এমনটা ঘটেছে। তবে দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ এখনো জানা যায়নি।

টেলিভিশনের খবরে আরও বলা হয়েছে, উড়োজাহাজটি ক্যাপ্টেন বেঁচে আছেন বলে আশা করা হচ্ছে। ঢাকা থেকে পাওয়া তথ্যে জানা যাচ্ছে- ক্যাপ্টেন হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন আবেদ সুলতান নামের একজন।

ঢাকায় ইউএস-বাংলার একজন কর্মকর্তা সারাবাংলাকে জানান, আবেদ সুলতানই ওই ফ্লাইটের ক্যাপ্টেইন হিসাবে ছিলেন।

নেপাল টিভি জানাচ্ছে, পাইলটের সহকারী হিসাবে ছিলেন একজন নারী। যিনি মারা গেছেন বলেই ধারনা করা হচ্ছে।

ত্রিভুবন বিমান বন্দর কর্তৃপক্ষ ও নেপাল সেনাবাহিনীর সদস্যরা উদ্ধার কাজ চালান।

বিমানবন্দর থেকে সকল ফ্লাইট অপারেশন সাময়িক বন্ধ রাখা হয়েছে।

এর আগে ১৯৯২ সালে ত্রিভুবন বিমানবন্দরে অবতরণের সময় বিধ্বস্ত হলে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটের ৫৬ জন আরোহীর সকলেই নিহত হন।

এমআই/এমআই/একে

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

২৪ বলে ০ রানে জাকিরের লজ্জার রেকর্ড
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৫:১৮

সম্পর্কিত খবর