বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
ঢাকা: টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ডাউন সিনড্রোম শিশুসহ সব প্রতিবন্ধী শিশুকে উন্নয়নের মূলধারায় সম্পৃক্ত করতে হবে । এ বিষয়ে সর্বত্র ব্যাপক জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। বিশ্ব ডাউন সিনড্রোম দিবস উপলক্ষ্যে বুধবার ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান এসব কথা বলেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ বৈকল্য বিভাগ, ডাউন সিনড্রোম সোসাইটি অব বাংলাদেশ, জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হসপিটাল এবং আমদা বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে দিবসটি পালন করা হয়।
অনুষ্ঠানে উপাচার্য বলেন, শরীরে ক্রোমোজমের একটি বিশেষ অবস্থার কারণে শিশুরা ডাউন সিনড্রোমের মত প্রতিবন্ধকতার শিকার হয়। এ ধরণের শিশুকে অবহেলা না করে তাদের প্রতি যত্মশীল হতে সবার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
যোগাযোগ বৈকল্য বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হাকিম আরিফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম, কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবু মো. দেলোয়ার হোসেন, জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হসপিটালের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সরদার এ. নাঈম এবং আমদা ইন্টারন্যাশনাল জাপানের প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর কাজুকো তাকেতানি বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডাউন সিনড্রোম সোসাইটি অব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান সরদার এ রাজ্জাক।
ডাউন সিনড্রোম বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টিতে বিশেষ অবদান রাখায় দেশের ৮জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে অনুষ্ঠানে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয়। এছাড়া, ডাউন সিনড্রোম সোসাইটি অব বাংলাদেশ প্রকাশিত “ডাউন সিনড্রোম ভয়েস”-এর তৃতীয় সংখ্যার মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
পরে ডাউন সিনড্রোম শিশুদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের নেতৃত্বে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র চত্বর থেকে একটি র্যালি বের করা হয়।
সারাবাংলা/এমএস