Friday 06 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

আরপিও সংশোধনে সরকারকে ফের ইসির চিঠি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২৭ নভেম্বর ২০২২ ২১:৩২

ঢাকা: গণপ্রতনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনী বিলের অগ্রগতি জানতে আবারও সরকারকে চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এ নিয়ে তৃতীয়বারের মত চিঠি দিল সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি।

ইসির ভাষায় শেষবারের মত দেওয়া চিঠিতে আগামী ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে আরপিও সংশোধনীর খসড়া বিলের অগ্রগতির ইসিকে জানাতে বলা হয়েছে।

চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয় যে, অনুরোধ ও চাহিদা উপেক্ষিত হলে কমিশন দায়িত্ব পালনে আবশ্যক সক্ষমতা অর্জন করতে পারবে না। এতে নির্বাচন কমিশনের সক্ষমতা, স্বাধীনতা এবং সরকারের সদিচ্ছা প্রশ্নে জনমনে অনাকাঙ্খিত সংশয়ের সৃষ্টি হতে বরে বলেও উল্লেখ করা হয়।

নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের উপসচিব আব্দুল হালিম খান স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি চিঠি রোববার (২৭ নভেম্বর) সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগকে পাঠানো হয়েছে। এর আগে ২৮ সেপ্টেম্বর ও ১০ অক্টোবর ইসি থেকে একই ধরনের পৃথক তাগাদাপত্র দেয়া হয়েছি।

রোববার (২৮ নভেম্বর) ইসির যুগ্মসচিব এসএম আসাদুজ্জামান আরজু সারাবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ইসির চিঠিতে বলা হয়েছে- নির্বাচন কমিশনের কাছে রিপ্রেজেন্টেশন অব দ্য পিপল অর্ডার (আরপিও) বা গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২-এ কিছু সংশোধন/সংযোজনের প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হওয়ায় তার সংশোধন সংক্রান্ত খসড়া বিল তৈরি বরে গত ৮ আগস্ট লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিভাগকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পাঠানো হয়।

কিন্তু দীর্ঘ সময় পাঠানো খসড়া বিলের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ বা সাধিত অগ্রগতি সম্পর্কে অবহিত না হওয়ায় ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগকে জরুরি চিঠি দিয়ে অগ্রগতির বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে অবগত করার জন্য অনুরোধ করা হয়।

এরপরও ওই বিষয়ে ইসিকে অবহিত না করায় ১০ অক্টোবর এ বিষয়ে ইসিকে অবগত করার জন্য আবারো বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়। এরপরও ওই বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে অগ্রগতি অবহিত করা হয়নি।

সংবিধানের বিধান মতে দায়িত্ব পালনে নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করা সকল নির্বাহী কর্তৃপক্ষের কর্তব্য উল্লেখ করে রোববারের চিঠিতে বলা হয়- রিপ্রেজেন্টেশন অব দ্য পিপল অর্ডার (আরপিও) বা গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২-এর ৫ (২) অনুচ্ছেদেও দায়িত্ব পালনে নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা প্রদান করার জন্য সরকারের সকল নির্বাহী কর্তৃপক্ষকে সুষ্পষ্ট নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।

দীর্ঘ ৩ মাস ১৫ দিনের বেশি সময় অতিবাহিত হওয়া এবং বারবার পত্র মারফত অনুরোধ করা সত্ত্বেও লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ উল্লিখিত বিলের বিষয়ে নেয়া ব্যবস্থা বা সাধিত অগ্রগতি সম্পর্কে কোনো তথ্য আজ পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করেনি।

চিঠিতে আরও বলা হয়, আইন মন্ত্রণালয় রাষ্ট্র এবং সরকারের নির্বাহী বিভাগের একাংশ উল্লেখ করে এতে আরো বলা হয়- দায়িত্ব পালনে নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করা সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ দায়িত্ব। নির্বাচন কমিশন মনে করে সংবিধান ও আইনের সুষ্পষ্ট বিধানের ব্যত্যয়ে কমিশনের যাচিত অনুরোধ ও চাহিদা উপেক্ষিত হলে কমিশন স্বীয় দায়িত্ব পালনে আবশ্যক সক্ষমতা অর্জন করতে পারবে না। তাছাড়া,এতে নির্বাচন বিষয়ে কমিশনের সক্ষমতা, স্বাধীনতা এবং সরকারের সদিচ্ছা প্রশ্নে জনমনে অনাকাঙ্খিত সংশয়ের উদ্রেক হতে পারে।

তৃতীয় দফার এ চিঠিতে আরপিও সংশোধন সংক্রান্ত খসড়া বিলের অগ্রগতির বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে আগামী ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে অবগত করার জন্য শেষবারের মত বিশেষভাবে সনির্বন্ধ অনুরোধ করা হলো।

সারাবাংলা/জিএস/এনইউ


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

কুষ্টিয়া থেকে সব রুটে বাস চলাচল বন্ধ
৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১২:২৮

সম্পর্কিত খবর