দীপাবলির প্রদীপে আশার আলো | ছবি
১ নভেম্বর ২০২৪ ০২:৫৫ | আপডেট: ১ নভেম্বর ২০২৪ ১৩:১৮
‘অসতো মা সদ্গময়/ তমসো মা জ্যোতির্গময়/ মৃত্যোর্মা অমৃতং গময়/ ওম্ শান্তিঃ শান্তিঃ শান্তিঃ।’
‘অসৎ থেকে সত্যে নিয়ে যাও/ অন্ধকার থেকে নিয়ে যাও জ্যোতিতে/ মৃত্যুময় জগত থেকে অমরত্বে নিয়ে যাও/ ভুবন ভরে উঠুক শান্তিতে।’ [বৃহদারণ্যক উপনিষদ- ১।৩।২৮]
অন্ধকার মানেই অশুভ শক্তি। আলোয় সেই অন্ধকার তথা অশুভ শক্তির বিনাশ। অন্ধকার মানে হতাশা। আলো সেই অন্ধকার দূর করে জাগিয়ে তোলে আশা। অশুভ শক্তির বিনাশ ঘটিয়ে আশা জাগানো উৎসবের নামই দীপাবলি। দিনের আলো নিভিয়ে যখন সন্ধ্যা নেমে আসে অন্ধকার নিয়ে, ঘরে ঘরে তখনই জ্বলে ওঠে শত-সহস্র প্রদীপ। দীপাবলির সন্ধ্যায় এমন অসংখ্য প্রদীপ আলোকিত করে তোলে সন্ধ্যা-রাত। সেটুকু বাহ্যিক। মনের কুঠুরিতেও আলোকিত করে তোলাই দীপাবলির অন্তর্নিহিত তাৎপর্য। বার্তা নতুন শুরুর, অশুভ শক্তির বিনাশের, হতাশা কাটিয়ে শান্তির প্রত্যাশার।
সনাতন ধর্ম অনুযায়ী, দুষ্টকে দমন আর অন্যায়-অত্যাচার দূর করতে মর্ত্যে আগমন মা কালীর। কার্তিক মাসের অমাবস্যা তিথিতে ঘোর অন্ধকার দূর করতে তাকেই আরাধনা করা হয় কালীপূজা বা শ্যামাপূজার মাধ্যমে। ওই সন্ধ্যাতেই দীপাবলি উৎসবে প্রদীপ জ্বেলে দূর করা হয় ঘর আর মনের অন্ধকারও। সবার মনে তখন উপনিষদের সেই আজ্ঞা— অসতো মা সদ্গময়/ তমসো মা জ্যোতির্গময়…
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) তেমনই দীপাবলির উৎসবে মেতেছিলেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। পরিবার-পরিজন ও বন্ধুদের নিয়ে প্রদীপের সলতেয় জ্বেলেছেন আশা আর আনন্দের আলো। তারই ছবি তুলেছেন সারাবাংলার সিনিয়র ফটো করেসপন্ডেন্ট হাবিবুর রহমান
- দীপাবলির সন্ধ্যায় হাতে হাতে প্রদীপ
- সেই প্রদীপের আলোয় উদ্ভাসিত হওয়ার আকাঙ্ক্ষা সবার মনে।
- প্রদীপের আলোয় আলোকিত হয়ে ওঠে ঘর-উঠান।
- আলোকিত হয়ে ওঠে মানুষের মনও।
- দীপাবলির প্রতিটি প্রদীপে লুকিয়ে থাকে ঐক্যের বার্তা, যা ভালোবাসার সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করে।
- দীপাবলির প্রদীপে লুকিয়ে থাকে অশুভের বিনাশ ঘটিয়ে শান্তির প্রার্থনাও।
- সবাই মিলে তাই দীপাবলির সন্ধ্যায় মেতে ওঠে আশার উৎসবে।
- স্বজনদের ফেলে যারা পাড়ি জমিয়েছেন স্বর্গলোকে, দীপাবলির সন্ধ্যায় মোমবাতি জ্বেলে স্মরণ করা হয় তাদেরও।
- প্রার্থনা— আলোর ধারা যেন বহমান থাকে বিশ্বজুড়ে।
সারাবাংলা/এমপি/টিআর