শিল্প সম্পর্কের সমন্বয় সাধনে ত্রিপক্ষীয় ঘোষণা
১ ডিসেম্বর ২০২৪ ২০:৩২ | আপডেট: ১ ডিসেম্বর ২০২৪ ২২:১৫
ঢাকা: দেশে শিল্প সম্পর্কের সমন্বয় সাধনে একটি ত্রিপক্ষীয় সমঝোতায় সই করেছে বাংলাদেশ। সরকার, মালিক সংগঠন বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশন এবং শ্রমিক সংগঠন ন্যাশনাল কোঅর্ডিনেশন কমিটি ফর ওয়ার্কার্স এডুকেশন যৌথভাবে একটি ‘বাংলাদেশে উন্নত এবং সমন্বয়পূর্ণ জাতীয় শিল্প সম্পর্ক’ বিষয়ক ওই ঘোষণাপত্রে সই করেছে।
রোববার (১ ডিসেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেল এই চুক্তি সই হয়েছে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, শিল্পখাতের কর্মক্ষেত্রে স্থিতিশীল এবং ন্যায়সঙ্গত সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
অনুষ্ঠানে বলা হয়, দেশের শিল্পখাত এবং আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার প্রধান এই ত্রিপক্ষীয় অংশীদাররা সামাজিক ন্যায়বিচারে সুদৃঢ় ভিতে দাঁড়িয়ে থাকা একটি শিল্প সম্পর্ক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সহযোগিতামূলকভাবে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এই ব্যবস্থার লক্ষ্য হল শ্রমিক এবং মালিকদের মধ্যে সমন্বয়পূর্ণ সম্পর্ক বাস্তবায়নের পাশাপাশি একটি স্থিতিশীল ব্যবসায়িক পরিবেশ নিশ্চিত করা, যা টেকসই ও ঘাতসহনশীল অর্থনৈতিক বৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বিভিন্ন সেক্টর জুড়ে চলমান শিল্প অস্থিরতা, যেখানে শ্রমিকরা বিভিন্ন বিষয়ে অভিযোগ জানাতে রাস্তায় নেমেছে ও বর্ধিত সময়ের জন্য ব্যবসায়িক কার্যক্রম ব্যাহত করেছে, সেই সময়কালে এই ঘোষণাটি এসেছে। দেশের বিভিন্ন সেক্টর জুড়ে কিছুদিন যাবৎ পরিলক্ষিত শিল্প অস্থিরতা পরবর্তী এই ঘোষণাটি একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে মনে করা হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে আইএলও এর গভর্নেন্স, রাইটস ও ডায়লগের সহকারী মহাপরিচালক ম্যানুয়েলা টোমেই বলেন, উন্নত কর্মসংস্থানের শর্তসমূহ, উন্নত কর্ম পরিবেশ সামাজিক ন্যায়বিচারের পথ প্রশস্ত করে। এটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সামাজিক ব্যবস্থার ভিত্তিও গড়ে ওঠে শিশ্পের সম্পর্কের মাধ্যমে। এটি একটি স্থিতিশীল ব্যবসায়িক পরিবেশের জন্য অপরিহার্য। আর এই চুক্তি একটি মাইলফলক।
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এএইচএম শফিকুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশ সরকার তার সামাজিক অংশীদারদের সাথে সহযোগিতায় ত্রিপক্ষীয় পরামর্শক কমিটিগুলির সংস্কার ও শক্তিশালী করার জন্য প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করছে। এটি আন্তর্জাতিক শ্রম মান, বিশেষ করে, ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ কনভেনশ ও সমস্ত স্তরে সামাজিক সংলাপের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিইএফ সভাপতি আর্দাশির কবির, এনসিসিডব্লিউই এর চেয়ারপারসন বাদল খান প্রমুখ।
সারাবাংলা/ইএইচটি/আরএস