মার্কিন পণ্যে শুল্কছাড় দিতে সম্ভাব্য তালিকা করছে এনবিআর
৬ এপ্রিল ২০২৫ ১৮:৩১ | আপডেট: ৬ এপ্রিল ২০২৫ ২০:৫৩
ঢাকা: যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা কোন কোন পণ্যে শুল্ক ছাড় দেওয়া যেতে পারে তার একটি সম্ভাব্য তালিকা তৈরি করছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
রোববার (৬ এপ্রিল) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে সচিব মো. মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এনবিআর কর্মকর্তারা এ তথ্য জানান। বৈঠকে রফতানিকারক, ব্যবসায়ী নেতা ও অর্থনীতিবিদরা অংশ নেন।
বৈঠকে জানানো হয়, শুল্ক হ্রাসের ফলে আমদানি বাড়লেও রাজস্বে উল্লেখযোগ্য প্রভাব যাতে না পড়ে, প্রাথমিকভাবে এমন পণ্যগুলোকে তালিকাভুক্ত করা হচ্ছে।
বৈঠকে এনবিআর কর্মকর্তারা জানান, কেবল যুক্তরাষ্ট্রের জন্য এককভাবে শুল্কছাড় দেওয়া সম্ভব নয়। কারণ এতে অন্য দেশগুলোও একই সুবিধা চাইবে। এজন্য এমন পণ্য চিহ্নিত করা হচ্ছে, যেগুলো শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্র থেকেই আমদানি হয় বেশি হারে এবং যেগুলোর শুল্ক কমালে দেশের রাজস্বে বড় প্রভাব পড়বে না।
বৈঠকে অংশগ্রহণকারীরা যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে দ্রুত একটি চিঠি পাঠানোর সুপারিশ করেছেন, যাতে আলোচনার জন্য তিন মাস সময় চাওয়া যায়। চিঠির সঙ্গে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কী ধরনের বাণিজ্য সুবিধা দেওয়া হতে পারে, তার একটি রোডম্যাপ সংযুক্ত করার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে।
একইসঙ্গে ট্রাম্প প্রশাসনের সময় আরোপিত অতিরিক্ত শুল্ক যেন ফের কার্যকর না হয়, সে লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রকে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
এদিকে, এনবিআর ও বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) যৌথ এক প্রাথমিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানিকৃত প্রায় ৩০টি পণ্যে তুলনামূলকভাবে উচ্চ শুল্কহার বিদ্যমান। এসব পণ্যের মধ্যে রয়েছে— জেনারেশন ও জেনারেটিং সেট, ভালভ, গরুর মাংস, কৃষিপণ্য, কিছু কাঁচামাল ও মূলধনী যন্ত্রপাতি। এসবের ওপর শুল্কহার ২৬.২ শতাংশ থেকে শুরু করে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত। তবে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সামগ্রিকভাবে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানিকৃত পণ্যের ওপর বাংলাদেশে গড় প্রভাবিত শুল্কহার ৫ শতাংশেরও কম।
যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশের প্রধান আমদানিকৃত পণ্যের মধ্যে রয়েছে— তুলা, স্ক্র্যাপ, বোয়িং বিমানের যন্ত্রাংশ ও বিভিন্ন মূলধনী যন্ত্রপাতি। এসবের বেশিরভাগই আগে থেকেই শুল্কমুক্ত সুবিধা পেয়ে থাকে। এছাড়া উচ্চমূল্যের গাড়িও মাঝে মাঝে আমদানি করা হয়।
সারাবাংলা/ইএইচটি/এসআর