ঢাকা: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, টানা দুই বারের বেশি কেউ প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না, এটা আমরা ৮ বছর আগে বলেছি। আমাদের ভিশন টোয়েন্টি থার্টিতে এটা উল্লেখ করা হয়েছে। আজকে যারা সংস্কারের কথা বলছে, তাদের কাছে এটা নতুন, আমাদের কাছে এটা পুরনো। প্রধানমন্ত্রীর দুই টার্ম বিএনপির প্রপোজাল। এখানে আমরা স্ট্রিক্ট আছি।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) দুপুরে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এসব কথা বলেন।
এর আগে, ঢাকায় নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়ন রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলারের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। তার সঙ্গে ছিলেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ।
বৈঠক সম্পর্কে আমীর খসরু বলেন, ‘‘সবার আগে নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে হতে যাচ্ছে, এ জন্য সবারই একটা স্বস্তি আছে। তারা আশা করছেন, আমরা দ্রুত নির্বাচনের দিকে গিয়ে গণতান্ত্রিক অর্ডারে দেশটা ফিরে যাবে। কারণ, তারাও তো অপেক্ষা করছে একটা নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে কাজ করার জন্য। সবারই একটা স্বল্প মেয়াদী, দীর্ঘ মেয়াদী, মধ্য মেয়াদী সিদ্ধান্ত আছে, যেগুলো একটা নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে করতে সবাই স্বস্তি বোধ করে।’’
তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশের শ্রমিকদের যে সমস্যা আছে, শ্রমিকদের এন্ট্রি নিয়ে যে সমস্য আছে, সেগুলো নিয়ে কথা হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন সব সময় শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে কাজ করে। আগামী দিনের পার্লামেন্টে তারা সহযোগিতা করতে চাচ্ছে এবং পার্লামেন্টের কার্যক্রমকে সততার সঙ্গে যাতে পরিচালনা করা যায়, সে ব্যাপারে তারা সহযোগিতা করছে চাচ্ছে, সেটা আমাদেরও ইচ্ছা।’’
আমীর খসরু বলেন, ‘‘বাংলাদেশের বিচার বিভাগকে সততার সঙ্গে পরিচালনা করার বিষয়টা উঠে আসছে এবং বিচার বিভাগের সেক্রেটারিয়েট করার যে বিষয়টি আলোচনায় আসছে, এটা তো আমরা নিজেরাই প্রপোজাল দিয়েছিলাম। বিচার বিভাগের আলাদা সচিবালয় থাকার প্রয়োজনীয়তা আছে। যদি স্বাধীনভাবে চলতে দিতে হয় বিচার বিভাগকে, তাহলে তার নিজস্ব সচিবালয় থাকা দরকার। বিষয়টা তারাও সমর্থন করে এবং তারা এ ব্যাপারে ফান্ডিং করতে রাজি। ফান্ডিং করছেও হয়ত। পার্লামেন্টের বেলায়ও তাই। স্ট্রং ক্যাপাসিটি বিল্ডিংয়ে একটা সচিবালয় থাকবে, যাতে পার্লামেন্টের পারফর্মেন্স ভালো হয়।’’
তিনি বলেন, ‘‘আমরা যে এত সংস্কারের কথা বলছি। আসলে পার্লামেন্টের সিস্টেমেরে মধ্যে সব আছে। এটাতে দীর্ঘ দিন কাজ হয়নি, সেই জন্য আমরা দোষারোপ করতে পারি। কিন্তু, সিস্টেমের মধ্যে এটা আছে, সেটা অস্বীকার করতে পারি না। সেখানে চেক অ্যান্ড ব্যালেন্স আছে। সেটাকে তারা অ্যাক্টিভেট করতে চাই, যাতে চেক অ্যান্ড ব্যালেন্স পার্লামেন্টের মধ্যে থাকে।’’
আমীর খসরু বলেন, ‘‘বাংলাদেশের আগামী দিনের উন্নয়নে তারা সহযোগী হতে চায়। শুধু অনুদান, ঋণ নয়। এর বাইরেও তারা চিন্তা করছে। নতুন নতুন অর্থায়নের ব্যাপারে তাদের অনেক চিন্তা আছে। বাংলাদেশে অর্থয়নে অনেকগুলো দিক আছে, যেগুলো বিগত দিনে করতে পারে নি, সেগুলো আগামী সরকার এলে করবে। পরিষ্কারভাবে তারা আমাদের উন্নয়নের অংশীদার হতে চায়। এটা আমাদের জন্য খুবই ভালো খবর।’’