ঢাকা: এক বছর আগে ২০২৪ সালের এই দিনে যৌক্তিক কোটা সংস্কার আন্দোলনে ছয়জন বীর সহযোদ্ধাকে গুলি করে হত্যার অভিযোগ উঠেছিল সরকারি নির্দেশের বিরুদ্ধে। সেই স্মৃতিবিজড়িত ১৬ জুলাইয়ের ঠিক এক বছর পর, ‘জুলাই পদযাত্রা’ নিয়ে গোপালগঞ্জমুখী হয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতৃবৃন্দসহ আন্দোলনকারীরা।
বুধবার (১৬ জুলাই) দুপুরে গোপালগঞ্জ জেলার সীমান্ত অতিক্রম করার সময় এনসিপি’র উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম এক আবেগঘন পোস্ট দেন তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে। তিনি লেখেন:
‘এই মুহূর্তে আমরা গোপালগঞ্জ জেলায় প্রবেশ করেছি। কিছুক্ষণের মধ্যেই পৌর পার্কে পৌঁছাব। স্বৈরাচারের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না। লাখো শহিদের রক্তে কেনা, দেশটা কারো বাপের না। বিপ্লব চলমান, লড়াই হবে শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত।’
এর আগে আরেকটি পোস্টে, সাদিকুর রহমান খানের একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন সারজিস। সেখানে তিন শহিদের ছবি শেয়ার করে লেখেন, ‘এই ছবিতে তিন শহিদ শুয়ে আছে— বিএনপির ওয়াসিম, শিবিরের শান্ত এবং সাধারণ মানুষ ফারুক। হাসিনা মারার সময় বিএনপি, জামায়াত বা সাধারণ মানুষ ভাগ করে মারে নাই। তাহলে আমরা কেন নিজেদের ভাগ করে করে দুর্বল হই?’
তিনি আরও মন্তব্য করেন, ‘শহিদদের প্রতি মিনিমাম সম্মান থাকলে অন্তত আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে তো আমাদের বিভক্ত হওয়ার কথা ছিল না!’
কমেন্টে সারজিসের আহ্বান অনেককেই নাড়া দিয়েছে। রাজনৈতিক মতভেদ ভুলে শহিদদের রক্তের দাবিতে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার সারজিসের ডাক যৌক্তিক বলে মন্তব্য করছেন অনেকেই।