ঢাকা: গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশে হামলার প্রতিবাদে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছিল দলটির নেতাকর্মীরা। ১ ঘণ্টা ব্লকেড শেষে সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ তারা সড়ক ছেড়ে দেন, এ সময় যান চলাচল পুণরায় শুরু হয়।
এ সময় জাতীয় যুব শক্তি, গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের নেতাকর্মীদেরও ব্লকেট ছেড়ে দিয়ে ক্যাম্পাসে অবস্থান নিতে দেখা যায়।
বুধবার (১৬ জুলাই) বিকাল ৫টায় এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতা কর্মীদের নির্দেশনায় সারা দেশব্যাপী এ ব্লকেড শুরু হয়। দলটির কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের নির্দেশনায় ব্লকেড ছেড়ে রাস্তার একপাশে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি অব্যাহত রাখে দলটির নেতা কর্মীরা।
শাহবাগে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে মাইকে ঘোষণা দেওয়া হয়, তারা রাজধানীর বাংলামোটরে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের দিকে যাবেন। তবে ১ ঘণ্টার অবরোধে শাহবাগ থেকে সায়েন্সল্যাব, প্রেসক্লাবমুখী লেনে যানবাহনের দীর্ঘ সারি দেখা গেছে।
এ সময় আন্দোলনকারীরা ‘গোপালগঞ্জে হামলা কেন, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘আমার ভাই রক্তাক্ত কেন, ইন্টেরিম জবাব দে’, ‘লীগ ধর, জেলে ভর’, ‘আওয়ামী লীগের কালো হাত, ভেঙে দাও, গুড়িয়ে দাও’, ‘ব্লকেড-ব্লকেড, সারাবাংলায় ব্লকেড’সহ নানা স্লোগান দেন।
ব্লকেডের বিষয়ে এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব আকরাম হোসেন সি এফ বলেন, ‘আমাদের নেতারা যতক্ষণ না পর্যন্ত নিরাপদে ফিরছেন, ততক্ষণ পর্যন্ত সারাদেশে ব্লকেড চলবে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের যুগ্ম সদস্য সচিব মোহাম্মদ মহিউদ্দিন সারাবাংলাকে বলেন, ‘আজ গোপালগঞ্জে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আমাদের বিপ্লবী ভাইদের ওপর হামলা করেছে, আমরা এর বিচার চাই। তাদের বিচার জোরদার করতে আমরা শাহবাগ ব্লকেড করেছিলাম।’