ঢাকা: ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘মানবজাতির কলঙ্ক’ হিসেবে আখ্যায়িত করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তাকে ক্ষমা করা যাবে না।
রোববার (২০ জুলাই) দুপুরে শেরেবাংলা নগরে জিয়া উদ্যানে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
জুলাই শহিদদের স্মৃতি ধরে রাখতে তাদের নামে এ বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছেন জাতীয়তাবাদী কৃষক দল ও আমরা বিএনপি পরিবার।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘শেখ হাসিনার আমলে গুম, খুন, গণহত্যা হয়েছে। তিনি মানবজাতির কলঙ্ক, দেশের মানুষ তাকে ক্ষমা করবে না, কোনো অবস্থাতেই তাকে ক্ষমা করা যাবে না।’
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার হাত থেকে দেশ রক্ষার আন্দোলনে আমাদের হাজার হাজার ছাত্র-জনতা জীবন উৎসর্গ করেছে। তাদের এই উৎসর্গকৃত জীবনের জন্য বিএনপির লক্ষ্য হচ্ছে সত্যিকার অর্থে একটি উদারপন্থী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মাণ করা, যেখানে দুর্নীতি, ঘুষ, খুন, হত্যা ও নির্যাতন থাকবে না। মানুষ স্বাধীনভাবে বাঁচবে।’
দলের পক্ষ থেকে ফান্ড তৈরি করে জুলাই-আগস্টের হতাহত পরিবারকে পুনর্বাসন করা হবে জানিয়ে তিনি, ‘অন্তর্র্বতী সরকার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী জাতীয় নির্বাচন দেবে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্বাচন দিয়ে তারা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও ভোটাধিার ফিরিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করবে— এটাই আমাদের প্রত্যাশা। আশা করি, এর ব্যাত্যয় কিছু ঘটবে না।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘রাজনীতি ভিন্নমত থাকলেও বিএনপি সবাইকে নিয়েই রেইনবো নেশন গঠন করতে চায়। সবাইকে নিয়ে ঐকবদ্ধভাবে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। অন্য কোনো এজেন্ডা আমাদের নাই। দেশের জনগণের কল্যাণ সাধনই বিএনপির একমাত্র এজেন্ডা।’
তিনি বলেন, ‘ইতিহাসের কী অমোঘ বিধান, এক বছর আগেও স্বাধীনতার ঘোষক শহিদ জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের মাজারে আসতে হলে আমাদের অনুমতি নিতে হতো। গাড়ি ভেতরে ঢোকানো যেত না। পায়ে হেঁটে আসতে হতো, তারপরও শত বাধা-বিপত্তি আসত। আজকে সেই মাজারে আমরা নতুন বাংলাদেশের যারা শহিদ হয়েছে, তাদের নামে বৃক্ষ রোপণ করতে চলেছি। এটাই হচ্ছে ভবিতব্য।’
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগ বলেন, ‘একটি জাতি নির্ণিত হয় তার মানুষ দ্বারা; নদী-পাহাড়-সাগর দ্বারা নয়। সেই মানুষের কোয়ালিটি, তার গুণ মান যত উন্নত হবে, ওই জাতি তত উন্নত হবে। আজকের এই কর্মসূচিটি আমার কাছে সেই ধরনের একটি কর্মসূচি। যেখানে আমরা একটি উন্নত রাষ্ট্র চিন্তার নিদর্শন দেখতে পাই।’
তিনি বলেন, ‘গোটা পৃথবী জলবায়ু পরিবর্তন বা ক্লাইমেট চেঞ্জ দ্বারা আক্রান্ত। আমাদের বাংলাদেশ আরও বেশি আক্রান্ত। এখানে যে ফরেস্টের পার্সেন্টেজ, সেটা অনেক কম। এই জন্য আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কর্মসূচি দিয়েছেন, ১০ লাখ গাছ লাগানোর মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশকে সবুজ করার একটা প্রক্রিয়া শুরু করব।’