Friday 01 Aug 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বাগেরহাটে আসন কমানোয় ক্ষোভ জানিয়ে ইসিতে আবেদন

‎স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
৩১ জুলাই ২০২৫ ১৭:৫৩

বাগেরহাট-৪ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী কাজী মনিরুজ্জামান মনির প্রস্তাবিত সীমানা নিয়ে আপত্তি জানিয়ে সিইসির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। ছবি: সারাবাংলা

ঢাকা: বাগেরহাট জেলায় আসন কমানোয় ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার-সিইসি বরাবর আবেদন করেছে স্বাধীনতা অধিকার আন্দোলন। সেসঙ্গে ভোটার সংখ্যা বিবেচনায় নিয়ে সীমানা পুনর্নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে সংগঠনটি।

‎বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) সকালে আগারগাঁওস্থ নির্বাচন ভবনে বাগেরহাট-৪ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী স্বাধীনতা অধিকার আন্দোলনের চেয়ারম্যান কাজী মনিরুজ্জামান মনির প্রস্তাবিত সীমানা নিয়ে আপত্তি জানিয়ে সিইসির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

‎বিএনপির অঙ্গসংগঠণ তাঁতীদল কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ও বাগেরহাট জেলা বিএনপির উপদেষ্টাও তিনি।

‎সিইসি’র সঙ্গে সাক্ষাত শেষে দুপুরে বিএনপি নেতা বলেন, ‘আমরা খুবই অভাগা। আমাদের একটি আসন নাই হয়ে গেছে। বাগেরহাটে আমার জন্মলগ্ন থেকে চারটি আসন। এই বাগেরহাট-৪ আসন, যেটা নাই হয়ে গেছে সেখান থেকে আমি এসেছি। এ আসনটি বহাল রাখার জন্য সিইসির কাছে দাবি জানিয়েছি।’

‎উল্লেখ্য, ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বুধবার ৩০০ সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ করে খসড়া প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন।

‎এতে ভোটার সংখ্যার সমতা আনতে গিয়ে গাজীপুর জেলায় একটি আসন বাড়িয়ে ৬টি এবং বাগেরহাটের আসন ৪টি থেকে কমিয়ে তিনটির প্রস্তাব করা হয়। ছোটখাটো পরিবর্তন আনা হয়েছে ৩৯টি আসনে। খসড়া প্রকাশের পর কোনো দাবি বা আপত্তি জানানোর সুযোগ রয়েছে ১০ আগস্ট পর্যন্ত। এরপর সিদ্ধান্ত নেবে ইসি।

আগে এ জেলায় চারটি আসন ছিল- বাগেরহাট-১ মোল্লারহাট-ফকিরহাট-চিতালমারি, বাগেরহাট-২ গেরহাট সদর এবং কচুয়া, বাগেরহাট-৩ রামপাল-মোংলা, বাগেরহাট-৪ মোড়েলগঞ্জ এবং সরণখোলা।

‎এবার বাগেরহাট-১ আগের মতো বহাল রাখা হয়েছে। বাগেরহাট সদর, কচুয়া, রামপাল নিয়ে বাগেরহাট-২ আসন এবং মোংলা, মোড়েলগঞ্জ ও শরণখোলা উপজেলা নিয়ে বাগেরহাট-৩ প্রস্তাব করা হয়েছে।

‎বিএনপি নেতা কাজী মনিরুজ্জামান বলেন, ‘শুধুমাত্র ভোটারের ওপর ভিত্তি করে যদি আমাদের ওখানে কেটে দেওয়া হয় আমরা একেবারে অনুন্নত থাকবো। আমাদের এই এলাকার উন্নতি হবে না। বাগেরহাটে চারটি আসন রাখতে বলেছি আমরা।’

‎ইসির প্রস্তাবিত সীমানা নিয়ে কেউ মামলা করলে নির্বাচনও আটকে যাওয়ার শঙ্কা করেন তিনি।

‎‘কেউ যদি এখন দ্রুত কোনো মামলা করে, আইনের ব্যবস্থা নেয় তাহলে নির্বাচন প্রক্রিয়াটা থেমে যাবে। মানুষের যে আশা আকাঙ্ক্ষা ভোটাধিকার সেটা তারা প্রয়োগ করতে পারবে না। যেকোন লোক এখন করতে পারে। সবাইকে তো বুঝানো যাবে না। এক একটা আসনে ১৭/১৮ জন এমপি প্রার্থী বিভিন্ন দলের, এটা করে করলে যদি হ্যাং হয়ে যায় তাহলে দেশের নির্বাচন প্রক্রিয়া সমস্যা হয়ে যাবে’ বলেন তিনি।

‎কাজী মনিরুজ্জামান আরও জানান, সিইসি নিয়ম মেনে সীমানা নিয়ে আবেদন করার পরামর্শ দেন। ইসি শুনানি করে যৌক্তিক সিদ্ধান্ত নেবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তাকে।

বিজ্ঞাপন

‎সারাবাংলা/এনএল/এমপি

আবেদন আসন কমানো ইসি বাগেরহাট

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর