ঢাকা: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে বিএনপির নেতা-কর্মীরা জেল খেটেছে, নির্যাতিত হয়েছে, কিন্তু কারও কাছে মাথানত করেনি। তারা অন্যায়ের বিরুদ্ধে, স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে মাথা উঁচু করে লড়াই চালিয়ে গেছে।
বুধবার (৬ আগস্ট) নয়াপল্টনে বিজয় র্যালি-পূর্ব সমাবেশে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জুলাই গণভ্যুত্থানের প্রথম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে এ র্যালি আয়োজন করা হয়।
র্যালিটি নয়াপল্টন থেকে শুরু হয়ে নাইটিঙ্গেল মোড়, পুরানাপল্টন মোড়, জাতীয় প্রেসক্লাব, কদম ফোয়ারা, মৎসভবন মোড় হয়ে শাহবাগ গিয়ে শেষ হয়।
র্যালিতে বিএনপির হাজার হাজার নেতা-কর্মী সমর্থক অংশ নেন। র্যালির অগ্রভাব যখন পুরানা পল্টন মোড়ে, পেছনের অংশ তখন ছিল নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে।
র্যালিতে বাদ্যযন্ত্র, ঘোড়ার গাড়ি, ব্যান্ড পর্টি নিয়ে হাজির হন বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, মহিলাদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, মুক্তিযোদ্ধা দল, শ্রমিকদল পৃথক রঙের টি-শার্ট, ক্যাপ, হেডার, ব্যাজ ধারণ করে। রং বেরঙের ব্যানার, ফেস্টুন, বেলুন, প্ল্যাকার্ড নিয়ে হাজির হন বিএনপির নেতা-কর্মী সমর্থকেরা।
নয়াপল্টন কার্যালয়ের সামনে নির্মিত অস্থায়ী মঞ্চে দলের শীর্ষ নেতারা অবস্থান নেন। সেখানে স্থাপিত জায়ান্ট স্ক্রিনে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হবে খুব শিগগিরই। আমাদের নতুন জুলাই ঘোষণাপত্র হয়েছে। আমাদের চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়িত হতে চলেছে রাষ্ট্র সংস্কারের মধ্য দিয়ে।’
তিনি বলেন, ‘আসুন আমরা শপথ করি, সত্যিকার অর্থে আমরা একটা সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলব। আমরা সমৃদ্ধ বাংলাদেশ নির্মাণ করব। সাম্য ও মানবিক মূল্যবোধ এবং মর্যাদার একটি দেশ গড়ব। বিশ্বদরবারে আমরা মাথা উঁচু করে দাঁড়াব।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘বিগত ১৫ বছরে লড়াই-সংগ্রাম করতে গিয়ে আমাদের যেসব নেতাকর্মী শহিদ হয়েছেন এবং জুলাই বিপ্লবে যারা শহিদ হয়েছেন, তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। জুলাই আন্দোলনে যারা আহত হয়েছেন তাদের প্রতি সহানুভূতি জানাই। আশা করি সরকার আহতদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করবে।’’
র্যালিপূর্ব সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, সালাহউদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।
উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপাসনের উপদেষ্টা আসাদুজ্জামান রিপন, আব্দুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, হাবীব উন নবী খান সোহেল, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী, কেন্দ্রীয় নেতা নাজিম উদ্দীন আলম, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকুসহ আরও অনেকে।