ঢাকা: বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রুমিন ফারহানা কারও নাম উল্লেখ না করেই বলেছেন, তার মন্তব্যে কেউ কষ্ট পেয়ে থাকলে তিনি দুঃখিত। বুধবার (২৮ আগস্ট) রাতে একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে তিনি বলেছেন, আমার কথায়, আমার অযৌক্তিক কোনো ব্যবহারে বা শব্দচয়নে যদি কেউ কষ্ট পেয়ে থাকেন, অবশ্যই আমি দুঃখিত।
পরে রুমিন ফারহানা তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজেও একই বক্তব্য পোস্ট দেন।
এর আগে সোমবার রাতে ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) নেতা হাসনাত আবদুল্লাহকে নিয়ে তীর্যক মন্তব্য করেছিলেন। সেখানে হাসনাতের বিরুদ্ধে ‘ছাত্রলীগ সংযোগ’-এর অভিযোগ তুলে তিনি কয়েকটি ছবি প্রকাশ করেন এবং অশালীন ভাষায় মন্তব্য করেন।
ঘটনার সূত্রপাত হয় রোববার ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ ও ৩ আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ শুনানিকে কেন্দ্র করে। সেখানে নির্বাচন কমিশনের খসড়ার পক্ষে যুক্তি দেন রুমিন, আর বিপক্ষে বক্তব্য রাখেন এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সংগঠক মোহাম্মদ আতাউল্লাহ। একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয় এবং পরিস্থিতি সামাল দিতে শুনানি স্থগিত করেন ইসি কর্মকর্তারা।
পরে সংবাদ সম্মেলনে হাসনাত আবদুল্লাহ রুমিনকে ‘বিএনপির আওয়ামী লীগ বিষয়ক সম্পাদক’ বলে মন্তব্য করেন। এর জবাবেই সোমবার রাতে রুমিন ওই সমালোচনামূলক পোস্ট দেন।
টকশোতে নিজের আচরণ প্রসঙ্গে রুমিন বলেন, ‘আমি যদি নিজেকে আরও নিয়ন্ত্রণ করতে পারতাম, ভালো হতো। কিন্তু দিন শেষে আমি একজন মানুষ। একজন মানুষের ধৈর্যেরও সীমা আছে। বহুদিন ধরে কেউ যদি ট্রলড হতে থাকে, একসময় মনে হয় জবাব দিই। না দিলেই ভালো হতো।’
নারী রাজনীতিকদের অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘রাজনীতিবিদদের জীবন সহজ নয়, নারী রাজনীতিবিদের জীবন আরও কঠিন। আর ভোকাল নারী রাজনীতিবিদের জীবন একেবারেই সহজ নয়। সব মিলিয়ে ভাবলে মনে হয়, আমি তো ভালোই আছি।’