খুলনা: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় প্রচার সেক্রেটারি এডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ বলেছেন, জনগণের ৭০ ভাগ পিআর ব্যবস্থার পক্ষে মত দিয়েছে। পিআরের মাধ্যমে অংশীদারিত্বভিত্তিক, কালো টাকামুক্ত ও কোয়ালিটি পার্লামেন্ট গঠন সম্ভব। এজন্য জাতীয় নির্বাচনের দাবি আদায়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে খুলনার ডাকবাংলোস্থ সোনালী ব্যাংক চত্বরে আয়োজিত সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সমাবেশের আয়োজন করেছে খুলনা মহানগরী ও জেলা জামায়াতে ইসলামী।
মতিউর রহমান আকন্দ বলেন, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর অন্তবর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করেছে। ঐকমত্য কমিশনে ৩১ দলের মধ্যে ২৫টি দল পিআরের পক্ষে। কেউ কেউ পিআরকে ব্যঙ্গ করে বললেও, এটি বাস্তবায়নের জন্য গণভোট প্রয়োজন। জনগণের রায় অনুযায়ী সকলকে তা মানতে হবে।
তিনি আরও বলেন, পিআর ব্যবস্থা হলে সকলের অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে অবাধ ও স্বচ্ছ পার্লামেন্ট গঠন সম্ভব হবে, যা ফ্যাসিবাদের বিকাশ রোধ করবে। পাশাপাশি আর্টিকেল ৭-এর ভিত্তিতে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিয়ে নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বজায় রাখতে হবে এবং গণভোটের রায়কে উপেক্ষা করা যাবে না।
মতিউর রহমান আকন্দ সাংবিধানিক সংস্কারেরও প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব সীমিত করা, নির্বাহী ও বিচার বিভাগের ভারসাম্য ঠিক করা এবং নির্বাচনের আগে এই সংস্কারগুলো কার্যকর করা জরুরি।
বিশেষ অতিথি জামায়াত কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক বলেন, আন্দোলন শুরু হয়ে গেছে। পিআর ব্যবস্থায় নির্বাচন হলে কেন্দ্র দখল বা টাকা দিয়ে ভোট কেনা যাবে না। জুলাইয়ের সংগ্রামের লক্ষ্য নতুন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা।
সভাপতি খুলনা মহানগরী আমীর অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান বলেন, জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে নির্বাচন আয়োজন, সংসদের উভয় কক্ষে পিআর ব্যবস্থা চালু করা, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করা, ফ্যাসিস্ট সরকারের দুর্নীতি ও জুলুমের বিচার করা এবং ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা— এ দাবিগুলো জনগণের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশের শপথ রক্ষা করবে।
সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিলটি নগরীর সোনালী ব্যাংক চত্বর থেকে শুরু হয়ে ফেরিঘাট মোড়, পাওয়ার হাউজ মোড়, সঙ্গীতা মোড় হয়ে শিববাড়ি মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। এতে জামায়াতের কেন্দ্রীয়, আঞ্চলিক ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দসহ হাজারো নেতাকর্মী অংশ নেন।