ঢাকা: জুলাই জাতীয় সনদ সইয়ের তারিখ ঘোষণাকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে একটি ‘ইতিবাচক অগ্রগতি’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
শুক্রবার (১০ অক্টোবর) সকালে শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানানো শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘রাজনীতির যে কোনো অমীমাংসিত বিষয়ে সমাধানে আসতে হলে আলোচনাই একমাত্র পথ। আলোচনা মানেই ভিন্ন মত, বিতর্ক এবং কখনো দীর্ঘসূত্রিতা— তবু আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়েই সমঝোতার সিদ্ধান্তে পৌঁছানো সম্ভব। আজ তারিখ নির্ধারণ হয়েছে, এই তারিখই হবে জাতীয় ঐকমত্যের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।’
তিনি আশা প্রকাশ করেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই দেশের সব রাজনৈতিক দল জুলাই সনদ নিয়ে একমত সিদ্ধান্তে পৌঁছাবে।
এগ্রিকালচারিস্ট অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (AAB)-এর নবগঠিত কমিটির পক্ষ থেকে জিয়াউর রহমানের সমাধিতে এ শ্রদ্ধা জানানো হয়।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘বিএনপি জনগণের সমর্থনে রাষ্ট্রক্ষমতায় এলে এ্যাব (AAB) কেবল সাংগঠনিক দায়িত্বেই সীমাবদ্ধ থাকবে না; তারা দেশের খাদ্য নিরাপত্তা, মাটির স্বাস্থ্য রক্ষা এবং পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় অগ্রণী ভূমিকা রাখবে। এই সংগঠনের মধ্য থেকেই এমন কৃষিবিজ্ঞানী ও গবেষক তৈরি হবে, যারা ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের খাদ্য ও কৃষি খাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।’
তিনি দেশের কৃষকদের দুরবস্থার কথাও তুলে ধরে বলেন,‘আমাদের কৃষকরা এখনো তাদের ন্যায্য মূল্য পায় না। গ্রাম থেকে ঢাকায় সবজি আসতে আসতে বহু হাত বদল হয়, দাম কয়েকগুণ বেড়ে যায়, কিন্তু কৃষক থাকে বঞ্চিত। এই বৈষম্যের অবসান ঘটাতে হবে।’
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে যে বক্তব্য দিয়েছেন, সেখানেও তিনি তার বিপরীত দলকে নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। তিনি বলেছেন যারা জনগণের ওপর নির্যাতন করেছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তারেক রহমানের বক্তব্যে কেবল ঐক্যের আহ্বানই নয়, বরং সেখানে দেশের ভবিষ্যৎ পুনর্গঠনের রূপরেখা, নীতিমালা ও তথ্যনির্ভর দৃষ্টিভঙ্গি ফুটে উঠেছে।’
রিজভীর ভাষায় ‘তারেক রহমানের বক্তব্যে শুধু ঐক্যের সুরই নয়, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ও নতুন রাজনৈতিক সংস্কৃতির প্রতিশ্রুতি রয়েছে।’