ঢাকা: পুরোনো অতীত ও তিক্ততা ভুলে সত্যিকার অর্থে অসাম্প্রদায়িক, প্রগতিশীল, গণতান্ত্রিক ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শনিবার (৮ নভেম্বর) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) কনভেনশন হলে মতুয়া বহুজন সমাজ ঐক্য জোট আয়োজিত ‘হিন্দু প্রতিনিধি সম্মেলনে’ বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের পর একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ে তোলার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এমন একটি বাংলাদেশ, যেখানে সব ধর্ম-বর্ণের মানুষের অধিকার সংরক্ষিত থাকবে, সবাই সমানভাবে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সুযোগ পাবে। আমরা সেই বাংলাদেশ গড়তে চাই, যেখানে অসাম্প্রদায়িকতা, প্রগতিশীলতা, গণতন্ত্র ও সমৃদ্ধির ভিত্তিতে নতুন সূচনা হবে।’
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, ‘আমাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা, স্বাধীনতার ঘোষক শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তম সেই বাংলাদেশ স্বপ্ন দেখেছিলেন এবং গড়ে তোলার কাজ শুরু করেছিলেন। আমরা তার সেই স্বপ্নের ধারাবাহিকতাই এগিয়ে নিতে চাই।’
অতীতের বিভেদ ভুলে ঐক্যের আহ্বান জানিয়ে ফখরুল বলেন, ‘১৯৯২ সালে গণতন্ত্রের মাতা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সংলাপ হয়েছিল, পরবর্তীতে তরুণ নেতা তারেক রহমানের সঙ্গেও আলোচনা হয়েছিল। আজ সেই সময়টাকে আবার ফিরিয়ে আনার প্রয়োজন রয়েছে। জনগণ এখন নতুন আশার আলো দেখছে— তারেক রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশে সত্যিকার নাগরিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত হবে।’
হিন্দু সম্প্রদায়ের দাবিদাওয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যাপন আইন বাস্তবায়ন, সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন, জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন ও সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠার দাবি যুক্তিসঙ্গত। দেবত্তর সম্পত্তি সংরক্ষণ আইন এবং ট্রাস্টের পরিবর্তে হিন্দু ফাউন্ডেশন গঠনের প্রস্তাবও যথার্থ। সংখ্যালঘুদের যথাযথ প্রতিনিধিত্ব ও মিথ্যা মামলাগুলোর প্রত্যাহারের দাবিও আমরা বিবেচনায় নিচ্ছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই দাবিগুলো বাস্তবায়ন তখনই সম্ভব, যখন আমরা আমাদের নেতাকে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব দিতে পারব। সেই দায়িত্ব দিতে আপনারা প্রস্তুত কি না, আজ আপনাদের কাছ থেকে সে প্রতিশ্রুতি চাই।’
সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন মতুয়া বহুজন সমাজ ঐক্য জোটের আহ্বায়ক সোমনাথ দে এবং তত্ত্বাবধানে ছিলেন যুগ্ম আহ্বায়ক সমেন সাহা। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।