ঢাকা: জাতির উদ্দেশে দেওয়া প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুসের ভাষণের প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টার একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোটের ঘোষণায় জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূর্ণ হয়নি।
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর মগবাজারে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, “আমরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলাম যে প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে সংকটের সমাধান আসবে। কিন্তু তিনি একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোটের ঘোষণা দিয়েছেন। এতে জনগণের প্রত্যাশা পূরণ হয়নি।”
তিনি আরও বলেন, জনগণের মূল অভিপ্রায় ছিল জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি এবং জাতীয় নির্বাচনের আগে কী কী সংস্কার হবে, তা স্পষ্টভাবে জানানো। নতুন প্রস্তাবিত জুলাই সনদের ভিত্তিতে সংবিধানে কী কী সংশোধনী আসবে এবং যে ৪৮টি প্রস্তাবে সর্বসম্মতি হয়েছে— সেগুলো জাতীয় নির্বাচনের আগে জনগণকে জানানো প্রয়োজন।
“ভোটারদের আগে বুঝতে হবে জুলাই সনদের বিষয়বস্তু। তারপর সেই প্রস্তাবের ওপর ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ ভোট দেওয়ার সুযোগ থাকতে হবে। কিন্তু একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট হলে জনগণ বিভ্রান্ত হবে এবং একটি সাংবিধানিক সংকট তৈরি হবে,” —বলেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল।
তিনি জানান, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীসহ আটটি ইসলামী দল দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছে— গণভোটটি জাতীয় নির্বাচনের আগে করতে হবে। এতে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দৃঢ় হবে এবং পরবর্তীতে আদালত বা আইনি প্রশ্নে কোনো বিতর্ক থাকবে না।
এ বিষয়ে জামায়াতের নির্বাহী কমিটির বৈঠক বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান মিয়া গোলাম পরওয়ার।
“সেখানে লিগ্যাল এক্সপার্টরা উপস্থিত থাকবেন। সব দিক বিশ্লেষণ করে বিস্তারিত প্রতিক্রিয়া জানানো হবে,”— যোগ করেন তিনি।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আগামী ১৬ নভেম্বর প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে ঘোষিত কর্মসূচি বহাল থাকবে। আট দলের নেতারা সেদিন বসে পরবর্তী কর্মসূচি নির্ধারণ করবেন।’