Wednesday 19 Nov 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

প্রশাসন ও পুলিশের বদলি লটারির মাধ্যমে চায় জামায়াত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১৯ নভেম্বর ২০২৫ ১৪:১২

আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।

ঢাকা: তফসিল ঘোষণার পর প্রয়োজনে লটারির মাধ্যমে প্রশাসন ও পুলিশের বদলি চেয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতারা। বুধবার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপে অংশ নিয়ে তারা মাঠ প্রশাসনে বদলির বিষয়ে এ দাবি জানান।

সকাল পর্বে জামায়াত, এনসিপিসহ সাতটি দলের নেতারা অংশ নেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দিন, অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার ও ইসি সচিবও উপস্থিত ছিলেন।

সংলাপে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারের নেতৃত্বে সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এএইচএম হামিদুর রহমান আযাদ ও আইনজীবী শিশির মো. মনির অংশ নেন।

মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, রদবদলের বিষয়টি একমাসও হয়নি, ২০ দিনও হয়নি, অথচ ডিসি পদে বদলি হয়েছে। তিনি বলেন, ‘মনে হয়েছে যেন কোনো উদ্দেশ্য নিয়ে পরিকল্পনা অনুযায়ী এটি হচ্ছে।’

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, ‘তফসিল ঘোষণার পর ইসির আরও অনেক ক্ষমতা প্রয়োগ হবে; সেক্ষেত্রে লটারির মাধ্যমে বদলি করার পরামর্শ দিয়েছেন।’

তিনি বলেন, প্রশাসনে নিরপেক্ষতার আস্থা রাখার উপায় হলো লটারির মাধ্যমে বদলি হওয়া। প্রধান উপদেষ্টাকেও বলেছি, এরকম করলে প্রশ্ন উঠবে না। তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচন কমিশনই নির্বাচন সুষ্ঠু করার প্রধান দায়িত্ব ও আস্থার জায়গা বলে উল্লেখ করেন তিনি।

সংলাপে ভোটকেন্দ্রে সেনা মোতায়েনের প্রয়োজনীয়তাও তোলা হয়। মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘একজন নয়, বরং চার–পাঁচ সদস্য নিয়োজিত করা গেলে ভালো হবে। এছাড়া আচরণবিধি ও প্রবাসীদের জন্য পোস্টাল ভোটিং, জুলাই সনদের গণভোট প্রশ্ন এবং ব্যালট পরিকল্পনা ইসির দায়িত্বে থাকবে।’

এএইচএম হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, ‘গতবারের ভুল পুনরাবৃত্তি হবে না। সরকার, ইসি ও সব পক্ষের কাছে একই প্রতিশ্রুতি রয়েছে। ইসির প্রস্তুতি ও আন্তরিতা লক্ষ্য করছি। স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে।” তিনি বলেন, “রক্ষক যেন ভক্ষক না হয়। আইন প্রতিপালন নিশ্চিত করা প্রয়োজন। সরকার পরিবর্তন হয়েছে, কিন্তু আমলাতন্ত্রে মৌলিক পরিবর্তন কম হয়েছে। এখানে জটিলতা রয়েছে, দলীয় সরকার না হলেও কিছু পদে দলকানা লোক রয়েছে। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরিতে সরকারের সঙ্গে সমন্বয় জরুরি।’

মো. শিশির মনির বলেন, ‘আচরণবিধি লঙ্ঘনে প্রার্থী বা তার পক্ষে একজনকে শাস্তি ও দলের অর্থদণ্ড কার্যকর করার বিষয়টি অস্পষ্ট। এছাড়া অবৈধ ও বৈধ অস্ত্র উদ্ধারে উপকূলীয় ও পার্বত্য এলাকায় বিশেষ নজর রাখা এবং জনগণের নিরাপত্তা ও ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হবে, না হলে ভালো কাজ নষ্ট হবে।’

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর