জবি: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচন বানচালের জন্য বিভিন্ন মহল পরিকল্পিতভাবে সক্রিয় রয়েছে— এমন অভিযোগ তুলেছে জাতীয় ছাত্রশক্তি সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ জবিয়ান প্যানেল’। তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, যথাসময়ে জকসু নির্বাচন না হলে প্রশাসনকে পদত্যাগ করে ক্যাম্পাস ছাড়তে হবে।
বুধবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা শহিদ রফিক ভবনের নিচে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন প্যানেলের সমাজসেবা সম্পাদক পদপ্রার্থী ও শাখা জাতীয় ছাত্রশক্তির মুখ্য সংগঠক ফেরদৌস শেখ।
ফেরদৌস শেখ বলেন, ‘পরিকল্পিতভাবে জকসু নির্বাচন বানচালের চেষ্টা চলছে। ভূমিকম্পের অজুহাতে অযথা ছুটি বাড়িয়ে নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা দৃশ্যমান। জকসু নিয়ে কোনো টালবাহানা মেনে নেওয়া হবে না।’
তিনি বলেন, ‘‘ভূমিকম্পের পর ঘোষিত দুই সপ্তাহের ছুটি ছিল ‘অদূরদর্শী সিদ্ধান্ত’। এতে সেমিস্টারসূচি, পরীক্ষা ও চাকরির আবেদনে শিক্ষার্থীরা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, অথচ ঝুঁকিপূর্ণ ভবন মেরামতে কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই।’’
নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। তার অভিযোগ— ‘এক প্যানেলকে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে শোকজ করা হলেও আরেকটি প্যানেলের প্রকাশ্য লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এতে কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে গভীর প্রশ্ন সৃষ্টি হয়েছে।’
ফেরদৌস শেখ আরও বলেন, ‘সম্পূরক বৃত্তি প্রাপ্তদের তালিকা সময়মতো প্রকাশে প্রশাসন ব্যর্থ হয়েছে। নভেম্বরের মধ্যে তালিকা প্রকাশের প্রতিশ্রুতি থাকলেও ডিসেম্বরেও তা প্রকাশ করা হয়নি।’
জকসু নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন— ‘যথাসময়ে নির্বাচন করতে হলে আগামী রোববারের মধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয় খুলতে হবে। শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দেওয়া হলে আমরা তা মেনে নেব না।’
ফেরদৌস শেখ অভিযোগ করেন, ‘প্রশাসন ১৮ ডিসেম্বর শিক্ষক সমিতির নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। জকসু নির্বাচন না করে শিক্ষকদের স্বার্থে নির্বাচন আমরা হতে দেব না।’