ঢাকা: দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে শক্তিশালী ও কঠোর আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা অপরিহার্য বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেন, যে কোনো মূল্যে আমাদের আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা ঠিক রাখতে হবে। প্রতিটি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হলে আইনশৃঙ্খলার বিষয়ে কঠোর হতে হবে।
মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন অব বাংলাদেশ (কেআইবি) মিলনায়তনে বিএনপির সাতদিনব্যাপী ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক কর্মসূচিতে লন্ডন থেকে অনলাইনে যুক্ত হয়ে তিনি এ বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তিনি। দলের যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সভাপতিত্বে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
ক্ষমতায় গেলে দেশের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থায় বড় পরিবর্তন এনে ‘ফ্যামিলি কার্ড’ চালুর ঘোষণা দেন তারেক রহমান। তার বক্তব্যে উঠে আসে, এই কার্ড দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কাছে সহজে ও সাশ্রয়ী চিকিৎসা পৌঁছে দিতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
নারীর শিক্ষা ও উন্নয়নকে অগ্রগতির প্রধান চালিকা শক্তি হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের অর্ধেক জনসংখ্যা নারী। তাদের ঘরে বসিয়ে রাখলে দেশ এগোবে না।’
তিনি জানান, খালেদা জিয়ার শুরু করা ‘বাস্তব শিক্ষিত মা’ কর্মসূচিকে আধুনিকায়ন করে নারীদের সাবলম্বী ও শিক্ষিত মা হিসেবে গড়ে তোলাই বিএনপির লক্ষ্য।
কৃষির গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘দেশের ২০ কোটি মানুষের খাদ্য চাহিদা মেটাতে কৃষিকে কখনই অবহেলা করা যাবে না।’
প্রান্তিক কৃষকদের বিশেষ সহায়তার আওতায় আনার অঙ্গীকার করে তিনি বলেন, ‘উৎপাদিত পণ্যের সংরক্ষণ, আধুনিক কৃষি ব্যবস্থাপনা এবং কৃষকের স্বাবলম্বিতায় বিএনপি সব ধরনের ব্যবস্থা নেবে।’
তারেক রহমান জানান, বিএনপি দেশব্যাপী সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফ্রি ইন্টারনেট নিশ্চিত করার পরিকল্পনা নিয়েছে। পাশাপাশি ইমামদের জন্য একটি কাঠামোবদ্ধ সহায়তা ব্যবস্থা গড়ে তোলার কথাও তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা শিক্ষা ব্যবস্থার স্পষ্ট দিকনির্দেশনা চায়, বেকাররা কর্মসংস্থান নিয়ে জানতে চায়—এসব বাস্তব সমস্যাকেই প্রাধান্য দিয়ে বিএনপি তাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সাজাচ্ছে।’
তারেক রহমান বলেন, ‘জনগণের প্রত্যেকটি মানুষের সমস্যার সমাধানে কাজ করবে বিএনপি।’
বিএনপির সাতদিনব্যাপী এই কর্মসূচির মাধ্যমে দলটি পর্যায়ক্রমে তাদের ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ প্রকাশ করছে।