ঢাকা: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সংবর্ধনাস্থল জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে। কানায় কানায় পূর্ণ হয়েছে ৩০০ ফিটের সংবর্ধনাস্থলসহ আশপাশের এলাকা।
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে পূর্বাচলের ৩৬ জুলাই এক্সপ্রেসওয়েতে (৩০০ ফিট) নির্মিত সংবর্ধনাস্থলকে কেন্দ্র করে দেখা গেছে মানুষের ঢল। দলে দলে সমর্থকরা আসছেন সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিতে। ফ্লাইওভার ও সড়কপথে জনস্রোত সভামঞ্চের দিকে যাচ্ছে।
বিশ্বরোড মোড় থেকে পূর্বাচলমুখী সড়কের উত্তর অংশে দক্ষিণমুখী করে বাঁশ ও কাঠ দিয়ে তৈরি হয়েছে ৪৮ ফুট বাই ৩৬ ফুটের বিশাল মঞ্চ। এখন অপেক্ষা শুধু তারেক রহমানের আগমনের।
আরও দেখা গেছে, ৪৮ বাই ৩৬ ফিট আকারের বিশাল মঞ্চে বসানো হয়েছে এলইডি স্কিন। সেখানে বাংলাদেশে জাতীয় পতাকার প্রতিচ্ছবির ওপর লেখা রয়েছে ‘তারেক রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন’।

এ ছাড়া নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় রেখে মঞ্চে অবস্থান নিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নিরাপত্তায় নিজস্ব বিশেষ সিকিউরিটি টিমের সদস্যরা।
সাধারণ মানুষের মধ্যেও তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে উচ্ছ্বাস দেখা গেছে। পূর্বাচল, কুড়িল, এয়ারপোর্ট এলাকার বাসিন্দারাও সন্তানদের নিয়েও মঞ্চ দেখতে আসেন। বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) রাত থেকেই রাজধানীর কুড়িল-পূর্বাচল ৩০০ ফুট এলাকায় নির্মিত সংবর্ধনা মঞ্চের সামনে অবস্থান নিতে শুরু করেন নেতাকর্মীরা।
জাতীয় ও দলীয় পতাকা, স্লোগান ও প্ল্যাকার্ডে পুরো এলাকা উৎসবমুখর হয়ে ওঠে চারপাশের পরিবেশ। নেতাকর্মীরা জানান, তারেক রহমানকে স্বাগত জানাতেই তারা ঢাকায় এসেছেন।
সংবর্ধনা মঞ্চে একমাত্র বক্তা থাকবেন তারেক রহমান। সংক্ষিপ্তভাবে দেশের জনগণকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালে গিয়ে তার মা, বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। সেখান থেকে বিমানবন্দর সড়ক হয়ে কাকলীর মোড় হয়ে গুলশান-২ নম্বরে বাসভবনে চলে যাবেন।
প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালের জানুয়ারিতে সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় আসার পর আটক হয়ে প্রায় ১৮ মাস কারাবন্দি ছিলেন তারেক রহমান। মুক্তি পাওয়ার পর ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর চিকিৎসার জন্য সপরিবারে লন্ডনে চলে যান তারেক রহমান। সে বছরের ডিসেম্বরের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে দেশে আসার পথ অনেকটা বন্ধ হয়ে যায় তার। একের পর এক মামলায় জর্জরিত তারেক রহমানের দেশে ফেরা হয়নি আর। অবশেষে দীর্ঘ সেই অপেক্ষার অবসান ঘটতে যাচ্ছে। আর কিছুক্ষণের মধ্যে প্রিয় মাতৃভূমিতে ফিরবেন তিনি। সঙ্গে থাকবেন স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান ও মেয়ে জাইমা রহমান।