ঢাকা: রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত জটিল। তিনি সংকটময় মুহূর্ত পার করছেন।
শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে কোনো ধরনের পূর্বঘোষণা ছাড়াই এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সদস্য ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
গণমাধ্যমকর্মীরা বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের সর্বশেষ অবস্থা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘স্বাভাবিকভাবেই ওনার (খালেদা জিয়া) অবস্থার উন্নতি হয়েছে, এ কথা বলা যাবে না।… ওনার (খালেদা জিয়া) অবস্থা অত্যন্ত জটিল এবং উনি একটা সংকটময় মুহূর্ত পার করছেন।’
এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, ‘দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ২৩ নভেম্বর এখানে (এভারকেয়ার হাসপাতাল) ভর্তি হয়েছেন; ভর্তি হওয়ার পরবর্তীতে ওনার শারীরিক অবস্থার বেশ অবনতি হয়েছিল।’
আর এই অবনতির কারণেই খালেদা জিয়াকে কেবিন থেকে সিসিইউ এবং সেখানে থেকে পরবর্তী সময়ে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয় বলেও জানান তিনি। জাহিদ হোসেন বলেন, ‘দেশি-বিদেশি চিকিৎসকেরা বিএনপি চেয়ারপারসনকে চিকিৎসা দিচ্ছেন। তার পুত্রবধূ ডা. জুবাইদা রহমান তাতে যুক্ত রয়েছেন।’

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে প্রেস ব্রিফিংয়ে কথা বলছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন। ছবি: সংগৃহীত
এদিকে ১৭ বছর পর গত বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) যুক্তরাজ্যের নির্বাসিত জীবন থেকে দেশে ফেরার পর মাকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন তারেক রহমান। শনিবার দিনভর নানা কর্মসূচি শেষে ফের মাকে দেখতে যান তিনি। দুই ঘণ্টার বেশি সময় সেখানে অবস্থান করে রাত ১২টার দিকে হাসপাতাল ছাড়েন তিনি।
উল্লেখ্য, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নানা শারীরিক জটিলতার মধ্যে ডায়াবেটিস, কিডনি, হৃদ্যন্ত্র ও ফুসফুসের সমস্যা ওঠানামা করছে। নিয়মিত চিকিৎসার অংশ হিসেবে তার কিছু শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা নিয়মিত করা হচ্ছে।
খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের এমন পরিস্থিতিতে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার কথা বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হলেও শেষ পর্যন্ত তা সম্ভব হয়নি। তার শারীরিক অবস্থা আকাশযাত্রার উপযোগী না হওয়ায় দেশেই তার চিকিৎসা চলছে।