ঢাকা: পুরান ঢাকার ইতিহাস-ঐতিহ্যের স্মারক নিয়ে স্ব-মহিমায় শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। যদিও প্রাচীন আমলে বুড়িগঙ্গার তীর ঘেঁষে গড়ে ওঠা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হয় ২০০৫ সালে। কিন্তু রূপান্তরের দুই দশক পেরিয়ে গেলেও এ পর্যন্ত কোনো ছাত্রসংসদ ছিল না। জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী পরিবর্তিত প্রেক্ষপটে এবার সেই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হচ্ছে কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ নির্বাচন (জকসু)।
ছাত্রপ্রতিনিধি নির্বাচনে মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) দিনব্যাপী ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এদিন সকাল সাড়ে ৮ টা থেকে বিকেল ৩টা ভোট অনুষ্ঠিত হবে। বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে আলোচনা-সমালোচনাকে উপেক্ষা করে উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন আয়োজনে প্রস্তুত জবি প্রশাসন।
এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার ১৬ হাজার ৪৪৫ জন। এর মধ্যে ছাত্রী ৮ হাজার ৪৭৯ এবং ছাত্র ৮ হাজার ১৭০ জন। কেন্দ্রীয় সংসদ ও হল সংসদ মিলিয়ে মোট প্রার্থী ১৮৭ জন। এবার ৩৯ কেন্দ্রের ১৭৮টি বুথে ভোট হবে। প্রতি ১০০ শিক্ষার্থীর জন্য একটি করে ভোটগ্রহণ বুথ থাকবে। ভোট শেষে মেশিনের মাধ্যমে ভোট গণনা করা হবে।
জানা গেছে, ভোট চলাকালে প্রতিটি কেন্দ্রে পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা মোতায়েন থাকবে। পাশাপাশি সার্বক্ষণিক ভ্রাম্যমাণ টিম দায়িত্ব পালন করবে। পুরো ক্যাম্পাস নিরাপত্তা চাদরে ঢাকা থাকবে। প্রতিটা বুথ সিসি ক্যামেরার আওতায় থাকবে। ক্যাম্পাসের বাইরে তিনস্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পুলিশ, সেনাবাহিনী ও র্যাব ক্যাম্পাসের বাইরে সবসময়ের জন্য নিযুক্ত থাকবেন।
সুশৃঙ্খল ও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করতে প্রক্টরিয়াল টিমের ১১ জন ছাড়াও জকসু উপলক্ষ্যে ১৭ জনকে নিযুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া, ২০০ স্বেচ্ছাসেবক থাকবেন সার্বিক সহায়তায় জন্য। সুষ্ঠুভাবে ভোট প্রদান করে শিক্ষার্থীরা যেন নিরাপদে ফিরে যেতে পারেন, সে প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছে।
এদিকে শিক্ষার্থীরা কীভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন সে বিষয়ে একটি ভিডিও তৈরি করেছে জকসু নির্বাচন পরিচালনা কমিটি। ভোট প্রদানে যাদের আইডি কার্ডের মেয়াদ আছে, তারা আইডি কার্ড সঙ্গে নিয়ে আসবে। এ ছাড়া, ওয়েবসাইট থেকেও ভোটারের সিরিয়াল নম্বর পাওয়া যাবে। সেটা নিলেও ভোট দেওয়া যাবে।