ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুর সংবাদে নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হয়েছেন দলীয় নেতাকর্মীরা। প্রিয় নেত্রীর মৃত্যুতে কান্নার ছায়া নেমেছে তাদের মধ্যে। অনেকেই হাউমাউ করে কাঁদছেন। কিছু নেতাকর্মী খালেদা জিয়ার মৃত্যুর জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দায়ী করে তার ফাঁসির দাবি করছেন।
খালেদা জিয়ার মৃত্যুর সংবাদ ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে কার্যালয়ে কোরআন খতম শুরু হয়েছে। কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে। উপস্থিত ছিলেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী।
মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ৪০ দিন ধরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন বেগম খালেদা জিয়া। এই সংবাদ ছড়িয়ে পড়ার পর বিভিন্ন এলাকা থেকে সাধারণ মানুষ ও দলীয় নেতাকর্মী নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হন।
এদিকে দলের পক্ষ থেকে সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ সাত দিনের শোক কর্মসূচি ঘোষণা করেন। পরে সংশোধিত কর্মসূচি অনুযায়ী পদক্ষেপগুলো নির্ধারিত হয়েছে:
১. ‘গণতন্ত্রের মা’ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে বিএনপি দেশের সব পর্যায়ে ৭ দিনব্যাপী শোক পালন করবে।
২. আগামীকাল ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫ থেকে ২ জানুয়ারি ২০২৬ পর্যন্ত রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে। এই সময়ে দেশের সকল দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে এবং কালো পতাকা উত্তোলন করা হবে।
৩. কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ দেশের সকল দলীয় কার্যালয়ে ৭ দিনব্যাপী কালো পতাকা উত্তোলন এবং দলীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে।
৪. দলের সকল স্তরের নেতাকর্মীরা কালো ব্যাজ ধারণ করবেন।
৫. প্রতিটি দলীয় কার্যালয়ে দেশনেত্রীর জন্য ৭ দিনব্যাপী কোরআন খতম ও দোয়া অনুষ্ঠিত হবে।
৬. কেন্দ্রীয়ভাবে গুলশানস্থ বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে, নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এবং জেলা পর্যায়ে দলীয় কার্যালয়ে শোকবই খোলা হবে।