ঢাকা: সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বিটে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন রিপোর্টার্স অ্যাগেইনস্ট করাপশন (র্যাক)।
মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় র্যাক সভাপতি শাফি উদ্দিন আহমদ ও সাধারণ সম্পাদক তাবারুল হক শোক প্রকাশ করেন।
শোক বার্তায় তারা বলেন, ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মহাপ্রয়াণে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে যে বিশাল শূন্যতার সৃষ্টি হলো, তা পূরণ হবার নয়। তিনি ছিলেন অদম্য সাহস ও আপসহীন নেতৃত্বের এক উজ্জ্বল প্রতীক।’
শোক বার্তায়, খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে মরহুমার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করা হয় এবং শোকসন্তপ্ত তার সুযোগ্য সন্তান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ পরিবার ও তার অগণিত শুভাকাঙ্ক্ষীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন র্যাক নেতারা।
বিবৃতিতে র্যাক নেতারা উল্লেখ করেন, ১৯৯১ সালে দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে খালেদা জিয়া দেশে সংসদীয় গণতন্ত্রের নতুন ধারা প্রবর্তন করেন। নারী শিক্ষার প্রসারে ‘বিনামূল্যে শিক্ষা’ ও ‘উপবৃত্তি’ কার্যক্রম চালুর মাধ্যমে তিনি দেশের তৃণমূল পর্যায়ে যে বিপ্লব ঘটিয়েছিলেন, তা আজও এ দেশের নারী উন্নয়নের মাইলফলক হয়ে আছে। দেশের অবকাঠামো উন্নয়ন এবং অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতা অর্জনে তার দূরদর্শী নেতৃত্ব চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।
তারা আরও বলেন, ‘খালেদা জিয়া কেবল একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বই ছিলেন না, বরং তিনি ছিলেন বাংলাদেশের সংসদীয় গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং রাষ্ট্রীয় কাঠামোর আধুনিকায়নের অন্যতম কারিগর। তার শাসনামলে দেশে দুর্নীতি প্রতিরোধে প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো শক্তিশালীকরণ এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগ ও প্রশাসনিক সংস্কারগুলো অনস্বীকার্য। একজন আপসহীন নেত্রী হিসেবে পরিচিতি পাওয়া খালেদা জিয়া যেমন প্রতিকূল পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছেন, তেমনি জনগণের অধিকার আদায়ের লড়াইয়ে অবিচল থেকেছেন। নারী শিক্ষা, দারিদ্র্য বিমোচন এবং দেশের অবকাঠামো উন্নয়নে তার অবদান জাতি কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করবে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া।