রোববার সমাবেশের অনুমতি পেল বিএনপি
২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১২:১৯
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে রোববার (৩০ সেপ্টম্বর) সমাবেশ করার অনুমতি পেয়েছে বিএনপি। শনিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার (ডিএমপি) কার্যালয়ে বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল সমাবেশের ব্যাপারে কথা বলতে গেলে তাদেরকে অনুমতি দেওয়া হয়।
প্রতিনিধি দলে ছিলেন বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী ও সহসাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ।
দুপুর পৌনে ১২টায় আব্দুল সালাম আজাদ সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমরা লিখিত অনুমতি পেয়েছি। বরাবরই যে শর্তগুলো জুড়ে দেয়, এবারও সেই শর্তগুলোই জুড়ে দিয়েছে। আশা করি আমাদের সমাবেশ সফল হবে।’
এর আগে, শুক্রবার (২৮ সেপ্টেম্বর) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘সমাবেশের ব্যাপারে আমাদের প্রস্তুতি শেষ। বৃহত্তর ঢাকা জেলা ও অঙ্গসংগঠন— সবাই মিলে প্রস্তুতি নিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘প্রস্তুতির কোনো অভাব নেই। পুরোদমে প্রস্তুতি চলছে। আমরা সোহরাওয়ার্দীতেই চাচ্ছি ২৯ তারিখ, না হলে ৩০ তারিখে তারা বিবেচনা করতে পারে। সেক্ষেত্রেও আমাদের কোনো আপত্তি নেই।’
রিজভীর এই বক্তব্যের ২৪ ঘণ্টা পর বিএনপিকে সমাবেশ করার অনুমতি োতবে বরাবরের মতো এবারও ২২টি শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে।
শর্তগুলোর মধ্যে রয়েছে— সমাবেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিপন্থী, রাষ্ট্র ও জননিরাপত্তা পরিপন্থী কোনো কার্যকলাপ পরিচালনা করা যাবে না, উসকানিমূলক কোনো বক্তব্য এবং প্রচারপত্র বিলি করা যাবে না, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত আনে— এমন কোনো ব্যাঙ্গচিত্র প্রদর্শন, বক্তব্য প্রদান ও প্রচার করা যাবে না, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের অভ্যন্তরে সমাবেশের যাবতীয় কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখতে হবে, নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে আইডিকার্ডসহ নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী নিয়োগ করতে হবে, স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের নির্দেশ অনুযায়ী নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় জনসভাস্থলে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করতে হবে, নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় প্রতিটি প্রবেশ পথে আর্চওয়ে স্থাপন করতে হবে, নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় জনসভাস্থলে আসা প্রতিটি যানবাহন তল্লাশি করতে হবে, নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় জনসভাস্থলে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা রাখতে হবে, অনুমোদিত স্থানের বাইরে সাউন্ড সিস্টেম ব্যবহার করা যাবে না, অনুমোদিত স্থানের বাইরে সড়ক ও ফুটপাতে প্রজেকশন ব্যবহার করা যাবে না, অনুমোদিত স্থানের বাইরে সড়কে অথবা ফুটপাতে সমবেত হওয়া যাবে না, আজান, নামাজ এবং ধর্মীয় সংবেদনশীল সময় মাইক চালু রাখা যাবে না, জনসভার মঞ্চ অন্য কোনো কাজে ব্যবহার করা যাবে না, জনসভার ২ ঘণ্টা পূর্বে মানুষ জনসভাস্থলে আসতে পারবে, বিকেল ৫ টার মধ্যে জনসভা শেষ করতে হবে, মিছিলসহকারে জনসভায় আসা যাবে না, ব্যানার-ফেস্টুনের আড়ালে কোনো ধরনের লাঠি, সোটা, রড আনা যাবে না, শর্ত না মানলে তাৎক্ষণিকভাবে অনুমতি বাতিল বলে গণ্য হবে, জনস্বার্থে কোনো কারণদর্শন ছাড়াই কর্তৃপক্ষ এই অনুমতি বাতিল করতে পারবে।
সারাবাংলা/এজেড/জেডএফ