Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘যা দেখেছি প্রধানমন্ত্রীকে বলব’


৫ অক্টোবর ২০১৮ ১৫:৪১

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট।।

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে পথসভার সঠিক চিত্র গণমাধ্যমে আসেনি বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। একটি পথসভায় বক্তব্য না রাখার বিষয়টি এলেও বাকি চারটি পথসভা জনসভায় পরিণত হওয়ার বিষয়টি গণমাধ্যম প্রচার করেনি বলে অভিযোগ মন্ত্রীর।

শুক্রবার (৫ অক্টোবর) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার মন্ত্রীকে প্রধান অতিথি করে ফটিকছড়ি উপজেলায় পাঁচটি পথসভার আয়োজন করে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ। নানুপুর ইউনিয়নের আজাদী বাজারে দুইপক্ষে স্লোগান দেওয়াকে কেন্দ্র করে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে মন্ত্রী ক্ষুব্ধ হয়ে বক্তব্য না দিয়ে সভাস্থল ত্যাগ করেন। এসময় বিবদমান নেতাকর্মীরা মারামারিতেও জড়ায়। এছাড়া নাজিরহাট ঝংকার মোড়ে আরেকটি পথসভার মঞ্চ ভাঙচুর হলেও সেখানে পরে সভা করেন মন্ত্রী।

ফটিকছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দিন মুহুরী এবং সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আবু তৈয়বের অনুসারীদের মধ্যে কোন্দলের জেরে এই ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করেন স্থানীয়রা। আর এতে ১৪ দলীয় জোটের মনোনয়নে নির্বাচিত ফটিকছড়ির সংসদ সদস্য নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারির ইন্ধন আছে বলে মনে করেন উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা।

সমাবেশস্থলে নেতাকর্মীদের মারামারিতে জড়ানোয় কারও ইন্ধন আছে কি না জানতে চাইলে ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘রাজনীতির অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, ইন্ধন অবশ্যই আছে, এটা ঠিক। যা দেখেছি প্রধানমন্ত্রীকে জানাব।’

বিজ্ঞাপন

সন্ত্রাসে অভিযুক্ত সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আবু তৈয়বের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে কোন সন্ত্রাসীর সম্পর্ক নেই। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তার বিষয়টি দেখবে। সে দলের কেউ নয়।’

‘নিজের হাতে অনেক নেতা তুলেছি। তারাই এখন আমার বিরোধিতা করছে। ছেলেরা যদি বেয়াদবি করে, আমাকে অবশ্যই বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীকে বলতে হবে।’

আজাদী বাজারের পথসভার বিষয়ে তিনি বলেন, পাল্টাপাল্টি স্লোগান দেওয়া হচ্ছিল। আমি বলেছি, এটা প্রার্থী নির্ধারণের সভা নয়। সরকার এবং প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন কর্মকাণ্ড প্রচারের জন্য পথসভা করা হচ্ছে। আমি তাদের অনুরোধ করার পর স্লোগান বন্ধ না করায় আমি বক্তব্য না দিয়ে চলে আসি।
‘মিডিয়া সেটা লিখেছে। কিন্তু আমি যে বাকি চারটি পথসভা করেছি এবং সেগুলো যে জনসভায় পরিণত হয়েছিল, সেই বিষয়ে মিডিয়ায় আসেনি। এটা সুস্থ সাংবাদিকতা নয়।’

পথসভায় ব্যাপক জনসমাগমের প্রমাণ দিতে মন্ত্রী মোবাইলে তোলা একটি ভিডিওচিত্রও সংবাদ সম্মেলনে প্রদর্শন করেন।

সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এম এ সালাম বলেন, ‘স্থানীয় সাংবাদিকরা এমনভাবে লিখেছেন যাতে মনে হয়েছে পথসভা পণ্ড হয়ে গেছে। অথচ চারটি পথসভা জনসভায় রূপ নেয়। মিডিয়ায় সেটি সঠিকভাবে উঠে আসেনি। মিডিয়া সেটাকে হাইলাইটস করেনি।’

এসময় এম এ সালাম ফটিকছড়িতে সংঘটিত পুরো ঘটনার বিবরণও দেন।

ফটিকছড়ির সংসদ সদস্যের বিষয়ে ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘এখানে ১৪ দলের মনোনয়নে নির্বাচিত একজন এমপি আছেন। আবার যদি মনোনয়ন পান, আবার কাজ করব। তবে দলে নেতাকর্মীরা চান, এখানে দলীয় প্রার্থী যেন মনোনয়ন পায়।’

বিজ্ঞাপন

সংবাদ সম্মেলনে ফটিকছড়ির সাবেক সংসদ সদস্য প্রার্থী এটিএম পেয়ারুল ইসলামসহ দলের নেতারা ছিলেন।

সারাবাংলা/আরডি/এমএইচ

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর