।। গোলাম সামদানী, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মাসিক আয় সাড়ে ১২লাখ টাকার বেশি। তবে বাড়ি ভাড়া বাবদ ১ কোটি ৫৮ লাখ টাকা ঋণ রয়েছে তার। এছাড়া তিনি একজন স্ব-শিক্ষিত মানুষ।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীতা চেয়ে নির্বাচনী হলফনামায় ঠিক এমনটাই উল্লেখ করা হয়েছে। শিক্ষাগত যোগ্যতার বিপরীতে বিএনপি চেয়ারপারসন উল্লেখ করেছেন- তিনি স্বশিক্ষিত।
বাড়ী নম্বর ১, রোড নম্বর ৭৯, গুলশান-২ কে স্থায়ী ঠিকানা হিসেবে উল্লেখ করা হলেও বর্তমানে কেন্দ্রীয় কারাগার, নাজিমুদ্দিন রোড ঢাকা এই ঠিকানার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে খালেদা জিয়ার হলফনামায়।
তার বিরুদ্ধে ৩৪টি মামলা দায়ের হয়েছিল। এর মধ্যে ৭টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। চারটি মামলা পেন্ডিং আর অন্যগুলো স্থগিত রয়েছে বলে জানিয়েছেন খালেদা জিয়া।
পেশা হিসেবে রাজনীতিকেই দেখিয়েছেন খালেদা জিয়া। বিবরণীতে লিখেছেন-বাংলাদেশ জাতীয়বাদী দল-বিএনপির সাংগঠনিক কার্যাবলী পরিচালনা করেন।
খালেদা জিয়া বছরে বাড়ি/অ্যাপার্টমেন্ট/দোকান বা অন্যান্য ভাড়া থেকে আয় করেন ৬৭ লাখ ৩১ হাজার ৩১৪ টাকা। শেয়ার, সঞ্চয়পত্র ব্যাংকে আমানত থেকে আয় ৮৫ লাখ ৯ হাজার ৮১৩টাকা। তবে তার ওপর নির্ভরশীলদের আয় প্রজোয্য নয় বলে উল্লেখ করেছেন।
সব মিলিয়ে বছরে তার মোট আয় ১ কোটি ৫২ লাখ ৪১ হাজার ১২৭ টাকা। সে হিসাবে মাসে গড় আয় ১২ লাখ ৭০ হাজার ৯৩টাকা ৯২ পয়সা। নগদ হাতে আছে ৫০ হাজার ৩শ টাকা মাত্র।
খালেদা জিয়া দুটি গাড়ি ব্যবহার করেন যার দাম ৪৮ লাখ ৬৫ হাজার টাকা। দুটোই টয়োটা জিপ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তার কাছে স্বর্ণ রয়েছে ৫০ তোলা। এছাড়া ৫লাখ টাকার ইলেকট্রনিক সামগ্রী এবং ২লাখ ৬০ হাজার টাকার আসবাবপত্র তার মালিকানায় রয়েছে বলে হলফনামায় উল্লেখ করা হয়েছে।
স্থাবর সম্পদের মধ্যে আছে ১২ হাজার ৩শ টাকা মূল্যর ৮ শতাংশ অকৃষি জমি। অর্জনকালীন ১০০ টাকা মূল্যে গুলশানে একটি বাড়ি আছে। আর ৫টা টাকা মূল্যের ক্যান্টমেন্টের বাড়িটি বর্তমানে তার দখলে নেই বলে হলফনামায় উল্লেখ করেছেন খালেদা জিয়া।
তিনি জানিয়েছেন বাড়ি ভাড়া বাবাদ তার ঋণ আছে ১ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। তবে এর বাইরে ব্যাংকে তার নামে কোনো ঋণ নেই।
ফেনী-১ ও বগুড়া-৬ ও ৭ আসন থেকে নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র দাখিল করেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
সারাবাংলা/জিএস/এমএম