।।জামশেদ নাজিম, অতিথি প্রতিবেদক।।
ঢাকা: আগামী ২৭ ডিসেম্বর রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট সমাবেশের অনুমতি মিলছে না। তবে এই সময়ের মধ্যে কড়া নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে গোটা নগরীতে। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উর্ধ্বতনরা সারাবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উচ্চ পর্যায়ের একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ২৭ ডিসেম্বর থেকেই রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিচ্ছে পুলিশ ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
ঢাকা মহানগর পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনী সমাবেশের ব্যানারে আন্দোলনের ডাক দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। এছাড়াও সমাবেশের পরপরই দলীয় নেতা-কর্মীদের বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো করে সহিংসতার পাশাপাশি ঢাকা অচল করার অপচেষ্টার পরিকল্পনা রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে পারার পরেই সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না বলে জানান ওই কর্মকর্তা।
এর আগে গত শুক্রবার (২১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর পল্টনে ঐক্যফ্রন্টের অস্থায়ী কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে, ২৭ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) ঢাকায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভা করার ঘোষণা দেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন।
সূত্র জানায়, নির্বাচন কমিশন ও পুলিশের কাছে জমা দেওয়া একাধিক গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই সমাবেশ থেকে নির্বাচন বয়কট ঘোষণা দিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগ দাবি করে কমিশন কার্যালয় ঘেরাওয়ের পরিকল্পনা ফাঁস হওয়ার পরেই এই সিদ্ধান্ত।
এসব বিষয়ে ডিএমপির কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া সারাবাংলাকে বলেন, আগামী ২৮ ডিসেম্বর নির্বাচনী প্রচারণার শেষ দিন। তার আগের সমবেশের বিষয় কোনো কিছু করতে হলে নির্বাচন কমিশনের ও ডিএমপি’র অনুমতি প্রয়োজন।
নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে ডিএমপির পক্ষ থেকে অনুমতি দেওয়া হবে না বলেই নিশ্চিত করেন ডিএমপি কমিশনার।
সারাবাংলা/এমএম