ওয়াজেদ মিয়ার স্মরণে দোয়া মাহফিল
৯ মে ২০১৯ ১৯:৪২
ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার দশম মৃত্যুবার্ষিকীতে বৃহস্পতিবার (৯ মে) ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, এনামুল হক শামীম, মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আফজাল হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষক সম্পাদক আব্দুস সবুর, মুক্তিযুদ্ধ বিষষক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক শামসুরনাহার চাপা, বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, কার্যনির্বাহী সম্পাদক রিয়াজুল কবীর কাউসার, ইকবাল হোসেন অপু, আনোয়ার হোসেন, গোলাম কিবরিয়া চিনু, আমিরুল ইসলাম মিলন কল্পনা জামানসহ অনেকে।
এছাড়া ধানমন্ডিতে ওয়াজেদ মিয়ার স্মৃতিবিজড়িত সুধা সদনে বাদ আছর দোয়া মাহফিল ও ইফতারের আয়োজন করা হয়। পাশাপাশি দিনব্যাপী কোরআন খতম করা হয়। এতে ওয়াজেদ মিয়ার আত্মীয়দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাহাউদ্দিন নাছিম, শামসুর রহমান টুটুলসহ অন্যান্য স্বজনরা।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য এস এম কামাল হোসেন, প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মিয়া মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ও আওয়ামী লীগের উপ দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী কৃষিবিদ মশিউর রহমান হুমায়ুন, প্রধানমন্ত্রীর প্রটোকল অফিসার-১ খুরশিদ আলম, প্রটোকল অফিসার-২ আবু জাফর রাজু, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী-২ ওয়াহিদা আক্তার, প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব আশরাফ সিদ্দিকী বিটু, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটন, সাজ্জাদ সাকিব বাদশা, মিলন পাঠান, নাসিম আল মোমিন রূপক, সুজাতুর রহমান, এনামুল হক কালু, কবি শংকর, আমজাদ হোসেন বাচ্চু, অভি চৌধুরী, মিজানুর রহমান, রফিকুল ইসলামসহ অন্যরা।
পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এমএ ওয়াজেদ মিয়া ২০০৯ সালের ৯ মে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
উপমহাদেশের খ্যাতনামা বিজ্ঞানী ড. ওয়াজেদ মিয়ার জন্ম ১৯৪২ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি রংপুরের পীরগঞ্জের লালদীঘি ফতেপুর গ্রামে। তিনি ১৯৬৭ সালের ১৭ নভেম্বর বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা শেখ হাসিনার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সময় তিনি জার্মানিতে ছিলেন। এরপর একটানা প্রায় সাত বছর নির্বাসিত জীবন কাটিয়ে তিনি দেশে ফেরেন।
মুক্তিযুদ্ধের আগে ছাত্রলীগ নেতা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হল ছাত্র সংসদের ভিপি হিসেবে আইয়ুব খানবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন প্রয়াত এ পরমাণু বিজ্ঞানী। এ কারণে ১৯৬২ সালে গ্রেফতারও হন। এরপর আমৃত্যু রাজনীতির বাইরেই ছিলেন।
সারাবাংলা/এনআর/একে
ওয়াজেদ মিয়া পরমাণু বিজ্ঞানী প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা