Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্প ছিল ওয়াজেদ মিয়ার ধ্যান-জ্ঞান’


১০ মে ২০১৯ ১৭:৫২

ঢাকা: বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান বলেছেন, ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার জীবনের অন্যতম ধ্যান-জ্ঞান ছিল রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প। তিনি জীবনের শেষ সময়ের দিনগুলোতে প্রায়ই রূপপুরে চলে যেতেন, সেখানে গ্রামের মানুষকে প্রকল্পটির গুরুত্ব সম্পর্কে বোঝাতেন। ছয় কোটি মানুষের মধ্যে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার স্বপ্ন দেখতেন তিনি। তার করা পরিকল্পনা মোতাবেকই রূপপুর প্রকল্প গড়ে তোলা হচ্ছে।’

বিজ্ঞাপন

শুক্রবার (১০ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার ১০ম মৃত্যবার্ষিকী’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদ এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।

মন্ত্রী বলেন, ‘ওয়াজেদ মিয়ার সম্মানার্থে ও স্বপ্ন বাস্তবায়নে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্পটি নির্ধারিত সময়েই শেষ করা হবে। আমরা যদি তার আত্মাকে শান্তি দিতে চাই, তবে আমাদের দায়িত্ব হবে দ্রুত প্রকল্পটি শেষ করে করে মানুষকে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া।’

বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানাকে দুঃসময়ে আগলে রেখেছিলেন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘১৯৭৫ সালের পর বঙ্গবন্ধু পরিবারকে আগলে রেখে তিনি বাংলাদেশের জন্য বিশাল একটি কাজ করেছেন। যার প্রমাণ আজকে আমরা পাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে দেশ উন্নয়নের পথে এগুচ্ছে। এটি কোনোভাবেই সম্ভব হতো না যদি সেই মানুষটা বঙ্গবন্ধু পরিবারের পাশে না থাকতেন।’

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট আবদুল বাসেত মজুমদার বলেন, ‘শেখ হাসিনা গ্রেফতারের পর তার পাশে অনেকেই ছিলেন না, রাজনীতিকরা ভয়ে আত্মসমর্পণের পথ খুঁজছিলেন। তখনও ওয়াজেদ মিয়া তার বন্দি স্ত্রীকে শক্তি-সাহস জুগিয়ে গেছেন। উনি ছাত্রজীবনে রাজনীতি করতেন, কারাগারেও গেছেন। কিন্তু কখনও তিনি নেতৃত্ব দাবি করেননি। কেবল বিজ্ঞানচর্চা করে গেছেন। তিনি পরমাণু বিজ্ঞানী ছাড়াও প্রখর রাজনৈতিক প্রজ্ঞা সম্পন্ন ব্যক্তি ছিলেন।’

সভাপতির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ‘ওয়াজেদ মিয়া ক্ষমতার খুব কাছাকাছি থেকেও কখনো ক্ষমতাকে ব্যবহার করেননি। তিনি ছিলেন নির্লোভ, নির্মোহ ও নিরহংকার। আচার-আচরণেও তিনি কখনও প্রকাশ করেনি যে, উনি বঙ্গবন্ধুর জামাতা, প্রধানমন্ত্রীর স্বামী। তার মৃত্যুতে জাতি একজন কৃতি পরমাণু বিজ্ঞানীকে হারিয়েছে।’

বিজ্ঞাপন

স্বাগত বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক সিরাজুল হক আলো বলেন, ‘ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া একজন পরিপূর্ণ রাজনীতিবিদ ও পরিপূর্ণ বিজ্ঞানী ছিলেন। তিনি রাজনীতিতে সম্পৃক্ত না হলেও রাজনৈতিক ক্রান্তিকালে ভূমিকা রেখেছেন।’

আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. মোকাদ্দেম হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান বিভাগের সাবেক পরিচালক প্রফেসর ড. নাজমা শাহীন, বাংলাদেশ কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আবদুর রশীদ, বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ অশোক তরু, মোখতার হোসেন, হোসনে আরা সিদ্দিকী জুলি, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ চৌধুরী, ডেমরা থানার সভাপতি নুর মোহাম্মদ হাওলাদারসহ অনেকে।

সারাবাংলা/ওএম/একে

ইয়াফেস ওসমান ওয়াজেদ মিয়া রূপপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্র

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর