বৈঠকে বসেছে বিএনপির স্থায়ী কমিটি

ফাইল ছবি

ঢাকা: বৈঠকে বসেছে বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটি। শনিবার (২২ জুন) বিকেল সাড়ে পাঁচটায় গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ বৈঠক শুরু হয়।

বৈঠকে উপস্থিত আছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমিরুদ্দীন সরকার, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান, ড. মঈন খান, গয়েশ্বরচন্দ্র রায়, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, দেশের চলমান রাজনীতি, আগামী দিনের আন্দোলন-কর্মসূচি, দল পুনর্গঠন, জোটের অখণ্ডতা রক্ষা ও বৃহত্তর রাজনৈতিক ঐক্য গড়তে করণীয় এবং বিএনপির সহযোগী সংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের চলমান অস্থিরতা দূর করার বিষয় আজকের বৈঠকে আলোচনা হচ্ছে।

দলীয় সূত্রমতে, বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক ডাকার এখতিয়ার কেবল চেয়ারপারসনের। তার অবর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান স্থায়ী কমিটির বৈঠক ডাকতে পারেন। যেহেতু চেয়ারপারসন কারাগারে এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নির্বাসনে, সেহেতু স্থায়ী কমিটির সদস্যরা বৈঠকে বসলেও সেটাকে স্থায়ী কমিটির আনুষ্ঠানিক বৈঠক হিসেবে গণ্য করা হয় না।

কিন্তু ঈদের পর গত শনিবার (১৫ জুন) অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সিদ্ধান্ত হয়। যার কয়েকটি এরই মধ্যে বাস্তবায়ন করা হয়েছে। স্থায়ী কমিটির শূন্যপদে নতুন দুইজনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

২০১৬ সালের ১৯ মার্চ অনুষ্ঠিত বিএনপির ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিলের পর দলের ১৯ সদস্য বিশিষ্ট স্থায়ী কমিটির ২টি পদ ফাঁকা রেখে ১৭টি পদ পূরণ করে স্থায়ী কমিটি ঘোষণা করা হয়। পদাধিকার বলে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্থায়ী কমিটির সদস্য।

বাকি ১৪ জনের মধ্যে ছিলেন ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, তরিকুল ইসলাম, ব্যারিস্টার জমিরুদ্দিন সরকার, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান, আ স ম হান্নান শাহ, এম কে আনোয়ার, ড. মঈন খান, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, গয়েশ্বরচন্দ্র রায়, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সালাহউদ্দিন আহমেদ।

এদের মধ্যে তরিকুল ইসলাম, এম কে আনোয়ার, আ স ম হান্নান শাহ প্রয়াত হয়েছেন। সালাহউদ্দিন আহমেদ আছেন ভারতের শিলংয়ে। অসুস্থতার কারণে ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান দলীয় বৈঠকে খুব একটা আসেন না। ঢাকায় অবস্থান এবং সুস্থ থাকা সাপেক্ষে বাকি ৯ জন বৈঠকে উপস্থিত থাকতে দেখা যায়।

সারাবাংলা/এজেড/একে

বিএনপি স্থায়ী কমিটির বৈঠক