লতিফের নগদ টাকা-সম্পদ বেড়েছে
৯ ডিসেম্বর ২০২৩ ১২:৪২
চট্টগ্রাম ব্যুরো: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম–১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) আসনের আওয়ামী লীগের মনোনিত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী এম এ লতিফের নগদ টাকাসহ অস্থাবর সম্পত্তি বেড়েছে দ্বিগুণের বেশি।
পাঁচ বছর আগে ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় তার নগদ টাকা ছিল ১ কোটি ৮৬ লাখ ১৬ হাজার ২৩৭ টাকা। এখন তা দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ৩৭ লাখ ৯০ হাজার ৮৬১ টাকা। অর্থাৎ ৫ বছরের ব্যবধানে নগদ টাকা বেড়েছে ৫১ লাখ ৭৪ হাজার ৬২৪ টাকা।
২০১৮ সালে তার অস্থাবর সম্পদ ছিল ২ কোটি ৬৪ লাখ ১০ হাজার ৪৬৫ টাকার, সেখানে ২০২৩ সালে সে সম্পদ বেড়ে হয়েছে ৫ কোটি ৭২ লাখ ৪৭ হাজার ৭০৬ টাকা। অর্থাৎ পাঁচ বছরের ব্যবধানে বেড়েছে ৩ কোটি ৮ লাখ ৩৭ হাজার ২৪১ টাকা।
রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে জমা দেওয়া এম এ লতিফের হলফনামা পর্যালোচনা করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। হলফনামা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, স্থাবর অস্থাবর মিলে এমপি লতিফের সম্পদ রয়েছে ৮ কোটি ৩৫ লাখ ৭৭ হাজার ১১০ টাকা। এর মধ্যে স্থাবর সম্পদ রয়েছে ২ কোটি ৬৩ লাখ ২৯ হাজার ৪০৪ টাকা, আর অস্থাবর সম্পদ ৫ কোটি ৭২ লাখ ৪৭ হাজার ৭০৬ টাকা। যেখানে গতবার ছিল ৫ কোটি ৯৬ লাখ ৮ হাজার ৩৮৯ টাকা।
২০১৮ সালে তার বার্ষিক আয় ছিল ৮২ লাখ ৩৭ হাজার টাকা। তবে ২০২৩ সালে তা কমে হয়েছে ৭৪ লাখ ৮২ হাজার ২৮২ টাকা। আয় কমেছে ৭ লাখ ৫৫ হাজার টাকা।
সংসদ সদস্য হিসেবে বছরে তার আয় হয় ২৫ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। ব্যবসা থেকে তার বার্ষিক আয় ২০ লাখ ৭২ হাজার টাকা। এ ছাড়া অন্যান্য খাত থেকে পান বছরে ৯ লাখ ৫৬ হাজার টাকা। কৃষি খাত থেকে তার আয় ১৯ লাখ ১৫ হাজার ৮৪৭ টাকা।
হলফনামায় দেখা যায়, পাঁচ বছর আগে ২০১৮ সালে তার কোনো গাড়ি ছিল না, কিন্তু ২০২৩ সালের হলফনামায় তিনি বলেছেন, তার ৭ লাখ ৫ হাজার ২৫০ টাকা দামের একটি গাড়ি আছে।
অস্থাবর সম্পত্তির মধ্যে বর্তমানে এম এ লতিফের হাতে নগদ আছে ২ কোটি ৩৭ লাখ ৯০ হাজার ৮৬১ কোটি টাকা। ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা আছে ৪২ লাখ ৪২ হাজার টাকা। বন্ড বা শেয়ার আছে আছে ৮ লাখ ৪৬ হাজার টাকা। সোনা আছে ৪৫ হাজার টাকা। ৭৮ হাজার টাকার ইলেকট্রনিক সমাগ্রী রয়েছে। ঋণ প্রদান এবং গাড়ি ক্রয়ের জন্য অগ্রিম রেখেছেন ২ কোটি ৭৫ লাখ ১৪ হাজার ৩২২ টাকা।
১০ কোটি টাকারও বেশি সম্পদের মালিক লতিফ পত্নী
চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) আসনের টানা তিনবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য এম এ লতিফের স্ত্রীর স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ রয়েছে ১০ কোটি টাকার বেশি। লতিফের স্ত্রীর অস্থাবর সম্পত্তি আছে ১ কোটি ৭৬ লাখ টাকার। আর স্থাবর সম্পত্তি আছে ৮ কোটি ৬৩ লাখ টাকা।
গতবার হলফনামায় তার স্ত্রীর অস্থাবর সম্পদ ছিল ২ কোটি ৬০ লাখ টাকার বেশি। এবার সেটি কমে হয়েছে ১ কোটি ৭৬ লাখ ৫২ হাজার টাকা। পাঁচ বছর আগে প্রায় ৬ কোটি টাকার স্থাবর সম্পদ দেখানো হলেও এবার দেখানো হয়েছে ৮ কোটি ৬৩ লাখ ৯৬ হাজার টাকার।
লতিফের স্ত্রীর কাছে নগদ আছে ৫২ লাখ ১৯ হাজার ২৩০ টাকা, ব্যাংকে জমা আছে ৭৮ লাখ ৪৪ হাজার ৪৫৭ টাকা, বন্ড আছে ৪৪ লাখ ৭৩ হাজার ৩২৫ টাকার, সোনা আছে পাঁচ হাজার টাকার, ইলেক্ট্রনিক সামগ্রী আছে ৮০ হাজার টাকার, আসবাব আছে ৩০ হাজার টাকার। সব মিলিয়ে তার স্ত্রীর সর্বমোট অস্থাবর সম্পত্তি আছে ১ কোটি ৭৬ লাখ ৫২ হাজার ১২ টাকার।
এছাড়া স্থাবর সম্পত্তিতে অকৃষি জমি দেখানো হয়েছে ২ কোটি ৯৬ লাখ ২৯ হাজার ৫০১ ও বাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট ৫ কোটি ৬৭ লাখ ৬৭ হাজার ২৪১ টাকা।
সারাবাংলা/আইসি/এনএস
আওয়ামী লীগ এম এ লতিফ এমপি এম এ লতিফ চট্টগ্রাম–১১ চট্টগ্রাম–১১ (বন্দর-পতেঙ্গা)