বাঁকা দৃষ্টিতে তাকাবেন না- ভারতকে মেজর হাফিজ
১৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ২০:৪৪ | আপডেট: ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪ ০০:৪০
চট্টগ্রাম ব্যুরো: ভারতকে বাংলাদেশের দিকে বাঁকা দৃষ্টিতে না তাকাতে বলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অবসরপ্রাপ্ত মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীরবিক্রম।
রোববার (১৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নগরীর নূর আহমদ সড়কের বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের নাসিমন ভবনের প্রাঙ্গনে বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত একা আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন। চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ভারত সরকারের ভুল পররাষ্ট্রনীতির কারণে দক্ষিণ এশিয়ার সব দেশ মোদি সরকারের বিরুদ্ধে চলে গেছে। তাদের এখান থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত। বাংলাদেশের দিকে বাঁকা দৃষ্টিতে তাকাবেন না। আমরা কারও খাইও না, পড়িও না। আমরা স্বাবলম্বী দেশ।’
আওয়ামী লীগ ভারতে বসে কল্পকাহিনী তৈরি করছে উল্লেখ করে হাফিজ বলেন, ‘পতিত স্বৈরাচার সীমান্তের ওপারে বসে নানা ধরণের কল্পকাহিনী অবতারণা করে যাচ্ছে। এখানে নাকি প্রত্যেকদিন সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হয়। ভারতের মিডিয়া প্রচার করছে বাংলাদেশে কোনো হিন্দু মহিলা শাঁখা-সিঁদুর দিয়ে রাস্তায় বের হতে পারে না। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতের মিডিয়া অকথ্য মিথ্যাচার এখনও করছে। কি চায় তারা?
বাংলাদেশের স্বার্থবিরোধী কোনো চুক্তি মেনে নেওয়া হবে না জানিয়ে বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ অত্যন্ত স্বাধীনচেতা। ভারত আমাদের বন্ধু। আমরা তাদের বন্ধু হিসেবে থাকতে চাই। কিন্তু সমমর্যাদার ভিত্তিতে সমপর্যায়ে। যেসব চুক্তি তারা করেছে, সরকারকে বলবো প্রত্যেকটি প্রকাশ করুন। এগুলোতে বাংলাদেশের স্বার্থ আছে কি না আমরা দেখতে চাই। বাংলাদেশের স্বার্থবিরোধী কোনো চুক্তি আমরা মেনে নেব না। আমরা বন্ধুসুলভ আচরণ চাই। আমরা আমাদের দেশের জনগণের জীবন মান উন্নয়নে ব্যস্ত।’
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধির হাতে দায়িত্ব দেয়ার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘মুহাম্মদ ইউনুসের সরকারকে সমর্থন দিয়েছে আমাদের দল। দেশবাসী সমর্থন দিয়েছে। তার সরকার রাষ্ট্র ক্ষমতায় গিয়েছে। তারা অনেক সংস্কারের কথা বলছেন। তারা এ কথাটি ভুলে গেছেন রাষ্ট্র ক্ষমতার প্রকৃত দাবিদার হলো জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা। সুতরাং এ সরকারের অন্যতম প্রধান কাজ নির্বাচিত সরকারের কাছে দায়িত্বভার অর্পণ করা। কিন্তু নির্বাচন নিয়ে কোনো কথাবার্তা শুনি না। তারা হয়তো এয়ার কন্ডিশন ও পতাকাবাহী গাড়ির মোহে আচ্ছন্ন হয়ে গিয়েছেন।’
‘থাকেন, আরও কিছুদিন থাকেন। কিছু সংস্কার করেন। সংস্কার করবেন কীভাবে? আন্দোলনে ৫০০ ছেলে চোখ হারিয়েছে। তাদেরও তো চিকিৎসা করতে পারছেন না আপনারা। ঢাকার প্রত্যেকটি সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে অঙ্গহানি ছাত্র-জনতারা কাতরাচ্ছে। সামান্য চিকিৎসাটুকু তাদের দিতে পারছেন না।’
নগর বিএনপির আহবায়ক এরশাদ উল্লাহর সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব নাজিমুর রহমানের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন দলটির কেন্দ্রীর সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন।
সারাবাংলা/আইসি/এসআর/এসআর