‘আইএমএফ’র সব শর্ত মানলে অর্থনীতি আরও দুর্বল হয়ে পড়বে’
৩ মে ২০২৫ ২১:৫৮
ঢাকা: প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আনিসুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সব শর্ত মানলে অর্থনীতি আরও দুর্বল হয়ে পড়বে। আমরা একটি ভারসাম্যপূর্ণ ও টেকসই অর্থনীতি গড়ার চেষ্টা করছি। বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের এই সময়ে কঠিন শর্ত মেনে নেওয়া যৌক্তিক হবে না। প্রয়োজন হলে আমরা বিকল্প পথ খুঁজে নেব।
শনিবার (৩ মার্চ) রাজধানীতে কৃষি বাজেট নিয়ে এক সেমিনারে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আনিসুজ্জামান চৌধুরী এসব কথা বলেন। কৃষি অর্থনীতি সমিতির সভাপতি আহসানুজ্জামান লিন্টুর সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন কৃষি অর্থনীতিবিদ ড. জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।
কৃষিতে ভর্তুকি অব্যাহত রাখার কথা উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী জানান, প্রয়োজনে দাতা সংস্থা আইএমএফ’র শর্ত না মেনে এ খাতে সুবিধা দেওয়া হবে। আনিসুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন, ‘সাবসিডিয়ারি তোলার জন্য আইএমএফ আমাদের অনেক শর্ত দিচ্ছে। আপনারা জানলে খুশি হবেন সরকার থেকে সিদ্ধান্ত নিয়েছি প্রয়োজন হলে আমরা আইএমএফ থেকে বেরিয়ে আসব।’
উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী বলেন, ‘ছয় মাসের মধ্যে দেশের অর্থনীতিকে আইসিইউ থেকে বের করে এনেছি। রুগণ দশা কেটে গেছে। ভয় পাবেন না, আমরা আছি।’
কৃষিবাজেট প্রসঙ্গে আনিসুজ্জামান বলেন, ‘কৃষি গবেষণা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। প্রান্তিক কৃষকের অবস্থা জানতে হবে। কৃষি হচ্ছে আমাদের মেরুদণ্ড। কৃষির উন্নয়নে আমাদের কাজ করতে হবে। তিনটি সেক্টর বাংলাদেশের রূপান্তরে ভূমিকা রাখছে।’
তিনি বলেন, ‘সেগুলো হলো- গার্মেন্টস, প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স ও কৃষি সেক্টর। তিনটির মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ সেক্টর হচ্ছে কৃষি সেক্টর। খাদ্যনিরাপত্তার জন্য কৃষিকে উপেক্ষা করতে পারব না। অনেকে বলছেন, কৃষির গ্রোথ (বিকাশ) কম। গ্রোথ বাড়ানো যাবে। তবে আমাদের কোয়ালিটি গ্রোথ বাড়াতে হবে।’
মানারত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক মিজানুর রহমান বলেন, ‘কৃষিপণ্যের দাম যদি কমে আর তার সঙ্গে কৃষি উপকরণের দাম যদি না কমে তাহলে কৃষক মরে যাবে। সেই আমাদের কৃষিপণ্য সার, বীজে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভর্তুকি দিতে হবে।’
কৃষিবিদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘যেই হারে মোট বাজেট বাড়ছে, সেই হারে কৃষিবাজেট বাড়ছে না। আমরা যদি আজকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে চাই এবং আগামী ৩০ সালের মধ্যে খাদ্য ও পুষ্টিতে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে চাই তাহলে রিভার্স করতে হবে।’
মূল বাজেটে কৃষি খাতের বরাদ্দ ১০ শতাংশ আর ভর্তুকিতে ৫ শতাংশ করা গেলে এই খাত আগামীতে উঠে দাঁড়াবে বলে দাবি গবেষকদের।
সারাবাংলা/জিএস/পিটিএম